গ্রামে মেলা বসেছে,
পৌষ মেলা। কাল
থেকেই দলে বলে
দোকানীরা পসরা
সাজিয়ে জায়গা
দখলের জন্য চলে
গেছে। বাকি মালপত্র
নিয়ে আজ সকাল
থেকেই ব্যস্ততা তাদের।
চুড়ি মালা ফিতে,
বাঁশী খেলনা ইত্যাদি।
ছেলেমেয়েদের বাঁশীর
শব্দে কান ঝালাপালা।
চলছে কেনাবেচার ধুম।
মেলাকে মাতিয়ে তোলে
লটারি আর চরকি
খেলার রমরমা ব্যবসায়।
সবকিছু ছাপিয়ে যেটা
ভেসে আসে তা হলো
রথের দড়ির টান পড়লে,
রথের চাকার ঘরঘর শব্দ।
কেউ দড়িধরে টানে
কেউ ঠেলাতে থাকে।
রথের ভেতরে বৈষ্ণব
জগন্নাথদেবকে কোলে
নিয়ে রথের ঝাকুনিতে
যেন ওষ্ঠাগত প্রাণ।
ধান খেতে বসে মেলা।
এই খেতে রবি শস্য
ফলাতে মানা। প্রতি
বছর এই একি জায়গায়
রথের মেলা বসে। দূর
দূরান্ত থেকে লোকেরা
ছুটে আসে। আমার
বুজ হওয়া থেকেই আমি
এই মেলার সাথে যেন
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা হয়ে আছি।
তখন তেমন বোঝাতাম
না,এখন বুঝি কিছু তো
এমন বিশেষ নেই
এই মেলাতে।জানিনা
তবুও কেন এতো ভীড়
হয়,তবু ও কেন সবাই
ছুটে, তবুও কেন আমি
যাই। রথের দড়ি ধরে
টানার চেষ্টা করি,রথ
থেকে ঢিলিয়ে দেওয়া
লুটের কলা খুঁজে খাই।
কি এমন টান আছে এই
রথে, আমি জানি না।


১৪-১-২০১৮ ইং ;
২৯ পৌষ ; ১৪২৪ বাং ;
ধর্মনগর ;উত্তর  ত্রিপুরা।
   ভারত।