তোমরা বলো , ফুর্তি
তোমরা বলো , ভালোবাসা
তোমরা বলো , ভোগ্য সম্পত্তি  
তোমরা বলো , আঠারোর প্রধান ভরসা ।
ওরা যন্ত্রনায় ছটফট করে
কোথাও নীরব ভাবে , কখনো আবার
চিৎকার করে ।
তোমরা বলবে , প্রকৃতির নিয়ম
তোমরা বলবে , বংশ বিস্তারের ধুম ।।
বিয়ের রাতেই হোক আর
ওপারের মাঠেই হোক , কোনোদিন ভেবে দেখেছো
সেই ফুটফুটে জীবনের কথা ।
নারী , নয় সে কোন নরকের দ্বার
তোমাদের বিশ্বাসে লুকিয়ে এদের অধিকার ।
অচেনা , অজানা ; তবু কোনোদিন সঙ্গী হতে
তোমায় কি করেছে মানা ?
পুরুষ তুমি , তুমি রক্ষক সমাজে
এ ভক্ষক বেস , তোমার নাহি সাজে ।
একবার লজ্যা করে না ,
একবার মনে হয় না , তোমার বোন
তোমার মা বা তোমার আপনজনের কথা !
বেশ্যা কাপড় খুলে ব্যবসা করে
তাই তাদের ঘেন্যা করো , হক কথা ।
আর চোখ ঘোরালেই , নিরীহ বৌ বোনেদের
শাড়ির আঁচল ধরে টান মারো ;
ধিক ! তোমাদের মতো দু মুখদের , ধিক !
ভাবো তো , নারী যদি এটাই করে
স্বইচ্ছায় নিজের লজ্যা ভুলে টান মারে ,
ছিড়ে খান খান করে দেয় ঐ সমস্ত দেহ
সেদিন পুরুষতন্ত্রবাদ ;
ঐ কোমলতার পিছনের প্রতিবাদ কে
ধর্ষণ বলে সম্মানহানি করবে না তো ?
তোমরা বলো , ফুর্তি
তোমরা বলো , ভালোবাসা
তোমরা বলো , ভোগ্য সম্পত্তি  
তোমরা বলো , আঠারোর প্রধান ভরসা ।