চৈত্র সেল, চৈত্র সেল
বাজার জেগে উঠে,
বিবিধ ক্লথ সেন্টারে
দলে দলে লোক ছোটে,
ঈদ নয়, নয় পুজো,
না বিয়ের কেনাকাটা,
ঝাঁকে ঝাঁকে মায়ে ঝিয়ে
সেই পথে দেয় হাঁটা
চুড়িদার, ফ্রক, প্যান্ট,
কত শত ছাপা শাড়ি
এর আগে ও ছোঁ মারে
কখনো বা কাড়াকাড়ি,
বাজে ক্যাসেটের বুলি,
ঝোলে রঙ্গিন ফেস্টুন,
মন কারা হবে যত
তত বৃদ্ধি ফরচুন,
কখনো হাঁকডাকাতে
এর পা ওদিকে যায়
বিফল দোকানী জ্বলে,
পারলে চিবিয়ে খায়,
আখের গোছাতে পাকা
সকল ব্যবসাওলা
খেয়ে দেয়ে গোলগাল
তাই ভুঁড়িটাও ফোলা
“দুশোর মাল শয়েতে
এই দোকানে পাবেন,
আমি আপন থাকতে
অন্য কোথায় যাবেন?”
কথা বিক্রি আগে, পরে
দোকানের মালটাল,
কোথায় মিলবে সেলে
তেল, গম, ডাল, চাল?
এসবে সেল থাকলে
কম হত কিছু রেট
অন্তত গরিব  পেতো
খাবারটা ভরপেট।
সবতে সেল থাকত
যদি আজকের দেশে
মেয়ের বাপেরা তবে
বাঁচত একটু হেসে।