ভোটের বাদ্যি উঠল বেজে রাম, শ্যাম, যদু আয়,
নেতাদের সাথে ক’দিন ঘুরে ভাল মন্দটা খায়।
জায়গায় জায়গায় ঘাঁটি হয়েছে লোকজন বসা উঠার
এখন যেন সময় হয়েছে বসে না থেকে ছোটার।
পাড়ার দাদা দিদিরা সব ব্যাস্ত ভীষণ রকম
সুযোগ পেলেই ভোটার ধরে করছে বকম বকম,
দু’চার কথার পরেই তারা আসল কথায় আসে
যেন তারা কতকাল থেকে আমাদের ভালবাসে,
কথায় তাদের মধুর প্রলেপ, ভেতরটা দুর্গন্ধ,
ভেতরের খবর পাওয়া যাবে না, রাখে তারা সেটি বন্ধ।
তবে কি একটা মজা লাগে ভোটের হাওয়া এলে
মুখ চোখ সব আজব রকম, বাপের শত্রু ছেলে।
পাড়ার কারোর ব্যামো হলে সব দল আসে ছুটে
অন্য সময় মরে গেলেও একজনও না জুটে,
অন্য সময় পথে ধাক্কা লেগেও অচেনা যারা
এখন দাদা দিদি বলতেও খাস্তাবে না তারা,
লাল, নীল বহু রঙে রঙিন হয়ে যায় পথ ঘাট
‘ওর চেয়ে বেশী খাওয়াবো আমি, আমার জন্য খাট’
এহেন বুলির বাহারে কিছু বেকার যুবক দল
ছোট বড় দল র’চে বলে, ‘চল, খাটি গে, চল’
স্বাভাবিক কাজ বন্ধ করে দলেতেই মিশে থাকা
অনেক রাতে বাড়ি ফেরে তারা, যখন রাস্তা ফাঁকা
‘কি খায় দায়?’ ঠিক জানে না বাড়ির লোকজন
সব কাজ ছেড়ে জেতার নেশাতে ডুবে যে আছে মন,
একবার যদি জিততে পারে, তবে শ্রম লাঘব
গরীব খাবে কাঁকড়-চাল তারা পাবে রাজভোগ
আজব ভোটার সবকিছু জেনে, শুধু আশা করে যায়
মরতে মরতে উদ্যম জোটায়, যদি কিছু বা পায়,
পর্যায়ক্রমে সদলবলে প্রার্থীরা বাড়ি আসে
এ.সি. রুমের মেজাজ নিয়ে দাঁত ফাঁক করে হাসে,
আমি মনে করি প্রার্থী যদি যোগ্য মানুষ হয়
মানুষের মনে দাগ কাটতে প্রচারী-বাহার নয়,
মানুষের হয়ে মানুষের পাশে থাকার রইলে চেষ্টা
ন্যায়কামী মানুষ ন্যায় পেয়ে যেত, শুধরাতো এ দেশটা।


(যারা এটি পড়লেন তারা মন্তব্য দিলে খুশি হব)