লেখা-টেখা ওসব কিছু নয়
আমি শুধু কাগজের পানসি ভাসাচ্ছি
সমুদ্রে;
অনবরত,
আক্ষেপ, অতৃপ্তির কালির ছোপগুলি
ধরে রাখতে চাইছি
কাগজের পাতায়,
সেই পাতা দিয়ে তৈরি পানসি-
নিরন্তর ভাসাচ্ছি সময়ের স্রোতে,
ভিজে, নেতিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে গভীরে;
চলে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে-
দিনের পর দিন।
তুমি ঘর বেঁধে বসেছ নদী তীরের মোহনায়;
আমি চাইছি-
পানসিগুলির মধ্যে
অন্তত একটি পৌঁছক তোমার কাছে,
ছুঁতে পাক তোমাকে-
তোমার যেকোনো স্থান,
এই একটি মুহূর্তের জন্য
আমার জেগে থাকা,
বেঁচে থাকা,
ঘোরাফেরা-
মৃত্যুকে কেন্দ্র করে
টানটান ব্যাসার্ধের মধ্যে।
এখন আর মরতে ইচ্ছে করে না
কারন-
যতবেশি দিন বাঁচব
নৌকা ভাসাতে পারব তত বেশী কাল
তোমার কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা তত বেশী;
হয়ত প্রদীপ নেভার পরেও
দুলছুট কোন নৌকা
তোমার ছোঁয়া পাবে।
সেদিন-
আমার শরীর না থাকলেও
বাতাস একটু বেশী চঞ্চল হয়ে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাবে
তোমার চুল;
নদী একটু বেশী আদরিনী হবে;
জড়াবে তোমার পদযুগল,
ফুলের গন্ধে একটু বেশী মাদকতা থাকবে,
এ যেন আমার
সুস্থির, স্বর্গীয়, সুধামাখা নবজন্ম।