পৃথিবীতে সংসার, বুঝি সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ
যা বহুভাবে হাজির করায় জ্বালাদায়ী খুচরো মরন,
জ্যান্ত কোশে হানে আগুনের ছেঁকা
সহজ পথ আজান্তেই হয়ে যায় বেঁকা,
ফোস্কা ফেলে শত শত
ধান থেকে খই ফোটার মত,
সূর্যের আলোও তা দেখাতে পারে না,
বাক্যবান চালাতে নারী কাউকে ছাড়ে না।
বলার-বোঝানোর কথাগুলি চাপা পরে পরে
আস্তে আস্তে পুরুষ চলে মৃত্যুরূপী ঘোড়ে,
হাড়িকাঠে মাথা রাখে স্বেচ্ছায়
মহিলারা তখন ব্যাস্ত, কেচ্ছায়,
কি পরিমান যন্ত্রনায়
পুরুষ নিশ্চুপ হয়ে যায়!
বলার কথাগুলির সামনে তাদের যুক্তি এসে
দাঁড়ায়, তাই, দুই পথ একসাথে না মেশে,
নিজেকে পোড়ানোর আগুনের ফুলকি
অন্যকে দিয়ে ভাবে না করেছে ভুল কি?
নিজেই এগিয়ে দেয় অন্যের হাতে
কি সুখে সে অবসর কাটায় ছাতে!
তবু ঘুম ভাঙ্গে না নারীর
তারা নিজেদের মত গল্প ফাঁদে শাড়ির
গয়নার, স্বামীকে দাপট দিয়ে বাঁধা
এসব করে সে হবে আধুনিক রাধা,
কৃষ্ণ যেন তার আঁচলে রাখা চাবি
বড়ই অদ্ভুত লাগে যত এসব ভাবি।
হে দয়াময়!
পারলে তোমার বাসভূমি
পৃথক রেখো-
পুরুষ ও নারীর,
পারলে, পুরুষদের জন্য
আপতকালীন এক মরুদ্যান দিয়ো
এক আঁজলা জল পাবার জন্য।