প্রায় তুমি স্বপ্নাচ্ছন্নের মত আসেপাশে আসো
জানি না, আমী তোমায়, না তুমি আমায় ভালোবাস
সম্বিত ফিরে যেই সজাগ হই
খুঁজে মরি, তুমি এই তো ছিলে ছোঁয়ার মধ্যে, এখন কই?
পদধ্বনি জোরাল থেকে হয় ফিকে
এবং তা বিভাজিত হয় দিকে দিকে
কোথা গেলে ছুঁয়ে নেওয়া হবে তোমাকে
কোথা করলে গোটা পাব গিয়ে কোন্‌ বাঁকে
দিক্বিদিকে ছুটে চলা হয় সার
তোমাতে হবে না বুঝি জাগানো অধিকার
কিভাবে তাদের ধরা দাও, লেখে যারা
তাহলে কি কিছু ঘুষ  দেয় তোমায় তারা?
আমার বেলায় কেন এত লুকোচুরি?
সত্যি তুমি ছলবাজ, মুখপুরি,
তুমি যেন সেই দোকানদারের মত
আশির জিনিষ চোখ বুঁজে বলো শত
খদ্দেরের চোখ আটকায় যে মালে
দাম বেশি নিতে জরাও তাকে জালে,
ভাঙ্গা ভাঙ্গা রুপ কখনো হাতে জোটে
তাতেও এই বেয়ারার মুখে হাসি ফোটে
এইভাবে ছুঁই চুল কভু বা শাড়ি-খুঁট
অপর প্রান্তটা ধরো নিজ হাত-মুট
ছুটে চল তুমি যেমন বনে হরিণী
আড়ালে রাখলে কি সাধ্য আমি চিনি,
তবে নিশ্চিত ভাল চিনি দেহবাস
কারন এর সাথে যে ভাব বারমাস,
ভাঙ্গাচোড়া বহু কথাও আসে কানে
ঠিক বুঝি না কোথায় বসে, কোনখানে
দিন রাত খুঁজে ক্লান্ত হয়ে এলে
অনুভবি, খোলাচুল সামনে মেলে
দুস্টু হাসি মেশান গলায় কেশে
স্বেচ্ছায় ধরা দিতে আসো গো শেষে
ততক্ষনে কে যেন মায়ার খেলায়
শূন্যতা বুকে, কাব্য হারায় হেলায়।