কি অতৃপ্তি চোখের পথে!
কি তৃষ্ণা কানের গহ্বরে!
খসখস শব্দ পেলেই কান খাড়া হয়ে ওঠে---
‘ঐ বুঝি তুমি আসছ!
দোদুল্যমান চুলে,
ইনিয়ে বিনিয়ে বলে যাবে প্রথম কথাগুলি
তারপর, শান্ত সমুদ্রে ডুবঃ
মনিমুক্তাগুলি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখবে,
নাড়বে, খেলবে,
আবার চুপিসারে
বুকে তুলে নেবে
পরম মমতায়,
ক্ষনে ক্ষনে স্থির হবে দৃষ্টি,
আধখোলা ঠোঁটে উকি মারবে
দন্তরাজি  
তুষার-ধবল-শীতল,
যার পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রশংসাকারী আমি,
কখনো জোরে, কখনো আস্তে
কথা হবে চেনা পরিচিত,
আবার কখনো বা কথারা মাঠ-ঘাট, নদীর জল
ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে আসবে ঘরে,
ভিজবে তুমি
ভিজব আমিও,
ভেজা শরীর নিয়েই
বহু কোটি কিমি পথ হাঁটা হবে ঘরে,
পা দুটি নিথর
শুধু অনুরনন বক্ষ পিঞ্জরে,
সময় সময় পুঁজ রক্ত বেরোয়
কথার প্রলেপ লেপে দাও তাতে,
নড়তেও কষ্ট হয়।’
থেমে যাও আরও কয়েকটি মিনিট
দু দণ্ড দেখি ঐ স্নেহঝরা লালিমা,
ঝরতে দাও আরও কয়েকটি
পলাশ ফুলের পাপড়ি
আমার ক্ষয়ে যাওয়া পথের ধারে।


Jangipur, Murshidabad
18th November, 2013
9:43 am