মা বলে, “সামলে চলিস, বাবা দাঁড়িয়েছে ভোটে
এর মধ্যে তোর রেপ-টেপের কেশ না কোর্টে ওঠে,
টোন টিটকিরি বন্ধ রাখলে ভাল হত সবথেকে,
ক্ষতি কি, বরং বাগান-ঘরে গণিকা নে না রেখে।
এটা হলে তোর বাবার কিছু কপালের ভাঁজ কমত,
এ তল্লাটে বাবার রাজনীতির ব্যবসাটাও তো জমত।
খরচ-টরচ বাবাই দেবেন, বলছিল কাল রাতে
বাবা চেয়েছিল এ নিয়ে কথা বলতে তোর সাথে।
কি জানি কি ভাবল ছেলে,বলল, “বলছি এসে”
ক্ষানিক পরে বোনটি তার সাজে ঢলঢল বেশে
বলল,”আসছি, ফিরতে রাত হয়ে যেতে পারে
ভোটের মিটিং। দেখ নি মঞ্চ হয়েছে নদীর ধারে।“
”দেখিস মা, সাবধানে; না যেন হয় পুরনো ভুল,
সে কি কাণ্ডঃ পুলিশ, দূরের নার্সিং হোম, হুলুস্থুল!”
“না মা, ও হবে না, তাছাড়া থাকছে  তোমার ‘ইয়ে’
সামনের বছরই তো আমাদের প্রায় ঠিক বিয়ে ,
ওর হাতের লোকবল, অস্ত্রশস্ত্রও বেশ আধুনিক
বাবা তাইতো ‘না না’ বলেও, এখন হল ঠিক।
বিশাল বড় ব্যাবসা ওদেরঃ ছয়টা কিম্বা আটটা,
ফলিয়ে দেখেছে ভালমত, বাবা এসবের আটঘাট-টা,
হাওয়া খেতে ও নিয়ে যায় সাঁঝে, ঐ পাশের গুলবাগে
দশ মিনিটের পথ, বলব না, আমি কেন দু ঘণ্টা লাগে।”
রাজনীতির পিছনে এমন মন্ত্র থাকলে কি হয় ভাল
কয়লা দুধে যতই ডোবাও, যায় কি সরানো কালো ?
তুমি আমি সবাই যেন এমনই কালো হয়ে
দিনে দিনে, কালে কালে, সব সমীকরণ গেছি সয়ে,
নতুন সূর্য আসবে কবে, কবে হবে রাত শেষ,
কবে তারা নব পোশাক নেবে, ছেড়ে এহেন বেশ?
কে আপন, কে ই বা পর, কাকেই করি ভরসা?
জানিনা পাঠক, কি দিন আসবে, রাতটি হলে ফর্সা।