যা এখন দেখছ, তা তো শুধু ধোঁয়া
আগুন-চারাখানি বহুদিনের  রোঁয়া
কিছুটা প্রকাশে, কিছুবা অপ্রকাশে,
তার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে বেশ কিছু মাসে,
তবে কেন তোমার চিকন গালে ভাঁজ?
ডাক্তারের লাল রিপোর্টে খুব কি ঝাঁজ ?
যা শুনে ঐ গলাটা শোনাল একটু ভারি
আলোচ্য বিষয়ে কি বাদ সেধেছে ‘শাড়ি’?
স্বেচ্ছায় কাঁটা ভরা পথে হেঁটে হেঁটে
সদর্পে বলি, ‘যাক সব দেহগ্রন্থি ফেটে’,
‘কারন’ ঘটালে ফল তো অবশ্যম্ভাবী
যেখানে সম্পর্ক তুমি ‘দাতা’, আমি ‘অভাবী’
মৃত্যু শয্যাশায়ীর মুখে কম্পমান হাতে জল,
ভুলে গেছ, যে চোখ তোমারই কারনে ছলছল,
যাও ফিরে তোমাদের সান্ধ্য আসরে
বা যে আসর বসে শিশুস্কুল গেটে, ভোরে
আধুনিক হাঁড়ি কলসি ঘরে ঢোকে
হে নারী, জল দেখ কি পুরুষ চোখে?
আলোচনায় চলে স্বামী বেঁধে রাখা খেলা,
সর্বোচ্চ সম্মান ‘স্বামীকে করলে হেলাফেলা’,
যেখানে কৃত্রিম ভালবাসা মোহময় পারফিউম,
না জানি কতটা আছে সে বাড়িতে শান্তি-ঘুম,
সেখানে বাড়ির পুরুষ সংসার টানার বাপ,
বাঁচিয়ে চলে, কারন ‘আত্মহত্যা মহা পাপ’।
পকেটে ‘শূন্য’ নিয়ে হাঁটাহাঁটি আর বেশিদিন নয়
হে জীবন, আর গড়া নয়, খুব শীঘ্র করে চল ক্ষয়।