সোনার বাটি  না হোক
তবে চেয়ে তো ছিলে:
মোটামোটি ভাল রকমের পাত্র
বাড়ির মান-সম্মান, মাসি-পিসির কাছে
হেলে দুলে গল্প করার মত
বৃষ্টি-পরা সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বলা আসরে।
দু টাকা দিয়ে অন্তত পাঁচের চেয়েও দামী
সরঞ্জাম কিনতে।
চেয়েছিলে, আগামির আসর মজানোর বীজ
বেশিরভাগ লোকই যা চাই,
তেমন তো কিছুই ছিল না সবুজ ছাড়া,
বেছে বেছে সবচেয়ে বড় অথচ মোটা
পাতাটিই আধারের আদল করেই
ধরে বসেছিলাম-
তুমি তো তাতে তো মার
জীবন ঢালতে পার নি।
অবশ্য তোমার দিক থেকে
অনেক কারন ছিল।
পাতাটি ছোটা হতে হতে শেষ হতে দেখল।
সেখানে এখন-
'একটি বাটি '
সে বাটি এখন :
চাল-ডাল-তেল কিনতে পারে,
কিনতে পারে শরীর জড়ানো কাপড়,
চাল ছাইবার খড়ও সে কিনতে পারে,
কিম্বা বাস ট্রামের টিকিট।
সে পাতার বাটি থেকে
পিছলে গেছে দেড় যুগ,
কোথা থেকে সেই বাটিতে
এসে পড়লো একটা পতঙ্গ,
ক্রমে তার ছানাপোনা :
কি দাপুটে দৌড়!
যেন এক ঝটকায় বিক্রি করে ফেলবে,
সেও এখন সুরক্ষা বোধ করে
বাটিকে বাঁধতে পেরে
অন্তত তার মুখ-চোখ-ধরণ তা জানান দেয়,
একটা বাস্তব সত্যি জানলাম :
পাতা নরম বলেই
বোধ হয়
শক্তসমর্থ বাটিই (পাত্রই) মা-বাবার কাম্য
জীবন রাখার জন্য,
সেটি কোমল বা সুগন্ধি না হলেও চলে
আর সোনার পাত্র হলে তো কোন কথাই নেই।
যদি, এটাই সত্যি হয়
তবে মাতৃ জঠরও কি বাটির জন্ম দেবে না?
সেখানে কেন মানুষ সবচেয়ে বেশী কোমলতা চায়?
আগামীর মাটিতে কি জন্মাবে না
ভালোবাসার ফুল?