ঘুম ভাঙা বহু রাতি
হয়ে মোর চির সাথি
              পথ চলে অবিরত।
বই আর টিভিটাকে
দেখি সময়ের ফাঁকে
        স্মৃতি এড়াতে শত।


একলা ঘরে শোয়া
রান্না খাওয়া ধোয়া
       কতবা সময় নেবে?
অতীতের খতিয়ানে
পুরনো ব্যাথাকে টানে
      রাতভোর হয় ভেবে।


পাড়াতেই দাদা ভাই
কখনো গেলে সেথায়
         ঢাকা কথা আসে চলে,
বলে যে যার মতন
'হীরেও নয় রতন'
       মন-তলা মরু হলে।


গর্ভে  ছেলে ধরিনি
মেয়ে জামাই নাতিনি
       নিয়ে শুধু  বেচেঁ থাকা,
সবাই ব্যাস্ত সুখে
আপদ বিপদ দুখে
               আমার দুপাশ  ফাঁকা।


পতিদেব বহুকাল
ছেড়ে গেছে স্ত্রীর হাল
          আমি নাকি ছিনু দোষী?
মতের অমিল ছিল
তাই অবসর নিলো
               তবু থাকলাম বসি।


বরষার এক রাত
দেহে উঠেছিল হাত
          হল কথা এক দুই,
'কর এবার দুপথ'
করল রাতে শপথ
         কোলের মেয়েকে ছুঁই।


হল না জীবন জোরা
শিক্ষিতরূপী গোড়াঁ
            গিয়েছিল তাকে দেখা,
বেড়িয়ে সে গেল চলে
মেয়েটি তখন কোলে
         মেয়ে আর আমি একা।


বেচারি বাঁচে কিভাবে?
ভাত ধরেনি, কি খাবে?
        নিতে হল টিউশনি
কোনমতে দিন যায়,
জানি কোথা তার ঠাই
      ভগিনী বাসায় উনি।


দিন যায়, মাস কাটে
মেয়েটি যখন  হাঁটে
           খবর এল খারাপ,
রোগে ভুগে মা গেছিল,
বাড়িটা আগলে ছিল
             আজ মারা গেল বাপ।