এক ঘরে সেই থেকে
বাকি দুটি দিনু রেখে
       ভাড়াটিয়াদের জন্য,
গড়াগড়ি করে মেয়ে
বাড়ল খেয়ে না খেয়ে
           কিছু ছিল লাবণ্য


হয়ে গেল তার বিয়ে
দাদা ভাই থুয়ে দিয়ে
               খুব বেশী দূরে নয়,
চলে গেল স্বামী সাথে
হেমন্তের এক রাতে
         মেয়ে তো পরেরই হয়।


যেমন রবি প্রকাশে
শিশির লুকায় ঘাসে
            আমারো তেমনি হাল,
অন্ধের লাঠি সম
সে ছিল সাহারা মম
               কিভাবে কাটাব কাল?


কিভাবে ব্যাস্ত থাকি
সাথি হল এক ‘রাখি’
       পাশের বাড়ির দাসী,
আসে কাজ সারা হলে
সাঁঝ পানে যায় চলে
      আমাকে বলে সে মাসী


কথা হত দুইজনে
কে জানে কার কি মনে
               কি রহস্য কে শানায়?
চুপ-কথা প্রান খুলে
সামনে দিতাম তুলে,
           একদিন সে জানায়


আমার বিরোধী যারা,
শুনে ধেয়ে এল তারাঃ
         জানাজানি হল লোকে,
শুনে কাটা গেল মাথা
ভাবীরা বলল যা তা,
         ‘কেন জানালাম ওকে?’


সাজাও পেলাম নিজে
কান্নায় গেল ভিজে
            শাড়ির আঁচলখানি,
শপথ করিনু মনে
কথা নয় দুর্জনে
              হল নাকানিচুবানি।


নয় বন্ধু, কিবা সই
সাথি করলাম বই
     নয় তারা প্রতারক।
সেই থেকে সাথি হয়ে
বই জীবনেতে রয়ে,
        তাতে কমে কিছু শোক।


তবু তো মানুষ যারা
সাথি পেতে চায় তারা
             জীবনের বহু মোড়ে,
ব্যাস্ত থাকার উপায়
না থাকলে কুঁড়ে খায়
         নিজ জন গেলে সরে।


* আগামীতে ৪র্থ পর্বে সমাপ্ত হবে