বহুকাল হল না হারার স্পৃহা নিয়ে
পথে চলে চলে নিয়েছি সব মানিয়ে
তবু ভেতরের অসহায়বোধগুলো
ফেলছে সুক্ষবোধের পরতে ধুলো
মাঝরাতে দুশ্চিন্তা জাগিয়ে রাখে
সবচেয়ে বেশিকরে মনে পরে মাকে :
বাড়ির সামনে বাগান ছিল, সেথায়
বাবা ভোরবেলা প্রায়শ হাটতে যায়
মা চা করে দাওয়া থেকে সবে ডাকে
কাজের রাখাল চিনুয়া, সব দাদাকে
দাদাভাই মিলে খুনসুটি হত রোজ
খেতে বসা যেন রাতে দিনে ছিল ভোজ
মাঝেমাঝে কোনোদিন রেগে গিয়ে দাদা
হেঁসেলের পাশে একা বসত আলাদা,
হাত ধুতে গিয়ে লেবুতলার পাঁচিলে
জটলা বাঁধত দিনে ভাইবোন মিলে
রাতে হাত ধুতে কষ্ট হত না কারো
চেঁচালে আমি মা বাবাকে বলত, "ছাড়ো,
আমি এইখানে ছোটটার হাত ধুব।
রাতে লেবুতলে যেতে ভয় পায় খুব ও"
মেজদা পড়তে বসে ঝগড়া বাধিয়ে
নিভিয়ে দিত সে জ্বলা প্রদীপে ফু দিয়ে,
লাঠি হাতে বাবা এলে পালাত সক্কলে
বকা খেত ওরা, আমি তো বাবার কোলে।
বাবা মা সেকাল মিলমিশ অমৃত
ছিন্নমূল বৃদ্ধা শুধু স্মৃতির আশ্রিত
সকাল চা কোনোদিন খায় দশটায়
সেই আঁচে চাল ফোটে ছোট হাঁড়িটায়
অঢেল সময় সারাদিনে, ছড়াছড়ি
কত টিভি দেখি, কত বা বই নে পড়ি!
কভু বসে থাকি একা চোখে স্মৃতি ভাসে
ধুমকেতুসম কেউ কেউ ঘরে আসে।
                        
                (আজকেও শেষ করতে পারলাম না আগামি পর্বে সমাপ্ত )