কে কার জন্য মোছাতে আঁখিজল
এ যুগেতে সাদা মনে কাছে আসে ,
বরং তারা দুর্বলটা জেনে
রাষ্ট্র করে নানান হাসি হাসে।


কোন সাহসে তাঁদের দুখ দেখে
বুক চিতিয়ে গোপন কথা বলি
নিজেকে সাবধানে সরিয়ে এনে
নিজ পায়ে নিজ কষ্টটা দলি ।


অনেক ছবিই নৈঃশব্দ্য হয়ে
দিনরাত মনে চলে দুলে দুলে,
চোখ উপছে আশু গড়িয়ে আসে
কারোর কথা তেমন করে ছুঁলে।


হাঁটুর ব্যাথা বেজায় বাধ সাধে
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে পায় টের
কোন ওষুধে কাজ হয়ু না দেহে
শুনি, এ বয়সে হয় অনেকের।


কারোর ছোঁয়া পাই না কোন কাজে
দোকান বাজার বা রান্নাঘরে
মশারি টাঙ্গা, খোলা বা চা করাতে
প্রায় তারা পরে থাকে অবসরে ।


উদাসী প্রেক্ষাপটে বসানো নারী
যার নেই হেলদোল চলা-মাঝে
সঙ্গীহীন হলে সবটা ভারী
জানলাম হয় জীবনের সাঁঝে।


সময় বয়ে চলে নিজের খাতে
তাতে কেউ ভাসে কেউ তাতে ডুবে
আমার জীবনে কখনো দেখিনি
কেমন বদল হয় কি কি হুবে?


দেহ-প্রান কবে বেরোবে তা ভাবি ?
যেন এ জীবনটা কারো পাপের ,
শুধু কি আভাবি এমন হিসাবে
আদর পায়নি মেয়ে  সে বাপের।


দেখে নি তার মেয়ের কথাফোটা
হাঁটা-শিক্ষার- বিয়ে বা ছানাপোনা,
এমন লোকের স্ত্রী হয়ে বাঁচাটা?
বুঝে না বুঝে দুষেছে বহুজনা ।


জানি না কি শেষমেশ লেখা আছে
সেথা কোন এক  আত্মীয় থাকে
শুনেছি হাজী হয় ফিরেছে ঘরে
সম্মত্তি যেন লিখেছে কাকে।


এসব ভেবে কি হবে আর ভাল
শেষ সব সুখ দুখের ছন্দ
অনেক প্রশ্নে আমি বলি ‘আজও
”আমার মনে না ভাল, না মন্দ।“