যেন তিমিরাচ্ছন্ন নিশা,
হারাইয়া বহু দিশা,
বহুদিন খুঁজিয়াছি তারে
লয়ে আজন্মের তৃষা।
আসিয়া সংসার’ মাঝে,
সাজিয়াছি বহু সাজে,
এতদিনের ভাঙাগড়া সহি
হইয়াছি আজ কৃশা।
         *
এই তো সেদিন পথভোলা
মানুষকে এক হল তোলা,
ভাবিনু, বুঝিবা উন্মুক্ত হল
শাবক এক- ভাঙ্গিয়া খোলা।
এখন ভাঙন অহরহ,
কি দোষে দুষিল কহ?
সহসা কেন নিস্তব্ধ দ্বীপে
দিয়াছিলে চলন-দোলা ?
         **
বৃক্ষের শাখা পল্লবগুলি
অতি অযত্নে পরিয়াছে খুলি,
কতদিন আর রহিবে এম্‌ন,
বন’ মাঝে সে মাথা তুলি ?
কে যেন এক পাষাণ সম,
ছিঁড়িছে, কাটিছে অন্তর মম ;
ইহার অধিক ছিল না কি ভাল
ফাঁসির দড়ি কিম্বা শূলী?