কোথা থেকেই বা আসা
আর কোথাই বা যাওয়া?
তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই।
শুধু মাঝের দিনটার জন্যই সবচেয়ে বেশী হিসাবনিকাশি ব্যাস্ততা।
মানুষ করো রে,
ভাল কালচার দাও রে,
কাজটা যেন পরিবারে সাথে মানানসই হয়,
বাড়ির মুখটা যেন রাখে।
কোথা থেকে আসা আর যাবই কোথায়?
এই উত্তর খুঁজতে গেলে-
নানা মুখ এগিয়ে আসবেঃ
আমি হিন্দু- আমার কথাই ঠিক;
আমি মুসলিম- আমিই ঠিক জানি;
আমি বৌদ্ধ- আমি ঠিক পথ দেখাব।
কে ঠিক তা যে যার মত বোঝাতে মরিয়া কসরত করে যাবে
যতক্ষন না আমার মগজ ধোলায় হয়।
তারপর টানাটানি-
আসলে কে ঠিক, এর সঠিক দিশা পাওয়া হল না।
শুধু জেনেছি আমি মানুষ, একটি বানানো পরিমণ্ডলে আবদ্ধ।
এরই মাঝে আমার বেড়ে উঠা, কর্ম, কর্তব্য,  
পরিমণ্ডল সহায়ক কাজগুলি করে যাওয়া।
এসব করতে করতেই তো আয়ু বেচারা ফুরুত।
তারপর, শেষে শব হয়ে একটি চলমান বিন্দুর পরিসমাপ্তি।
তারপর লাশটাকে যে যার খুশি মত পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে
তার পিছনের আদর মাখা-দিনগুলি
বৈশাখের তপ্ত রৌদ্রে ঘাসের আর্দ্রতা শুষে নেবার মত করে শেষ হয়ে যাবে।
এই কি জীবন?
কেন এলাম এখানে?
কি করলাম?
কার জন্য করলাম?
আর কি করতে বাকি থাকল?
শুধু-
পৃথিবীর আলো, বাতাস, খাদ্য নিয়ে ঋণে বুঁদ হতে... হতে... হতে...
পথ চলা-
তারপর ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে
শারীরিক কলকব্জা বিকল করে দিয়ে
কিছুক্ষণের জন্য কয়েকটি ভেজা চোখের
নির্লিপ্ত চাওনির মধ্যে পরিবেষ্টিত হয়ে থাকা।
তারপর-
চলে গেল রে...চলে গেল রে...
কতটুকু শোধ করে গেলাম ?
অথচ মাঝের দিনটিতে ঋণ যেন গলায় আটকে থাকা
মাছের কাঁটার মত- মুহূর্তে মুহূর্তে জ্বালাতন।
সুন্দর জীবন পাবার ঋণ শোধ করব কার কাছে?
বাতাসের কাছে?
জলের কাছে?
মাটির কাছে?
পৃথিবীর মানুষের কাছে?
মায়ের কাছে?
কার কাছে......?