হাঁসফাঁস করা প্রাণগুলি নিয়ে বাড়ির পথে পা দিয়ে
বেচাকেনা করা লোকগুলি নেয় বট ছায়ায় জিরিয়ে
কারোবা মাথায় ফাঁকা ঢাকি থাকে কারোবা মাথায় হাঁড়ি
কেউবা হেটেই পথ চলে, কেউ সাইকেল সওয়ারি,
পুরুষ মহিলা নানা লোক জড়ো হয় এই বট তলে
বটের যে ডাল নুয়ে গেছে নিচে সেটা ফেলে ছায়া জলে
সেখানে একটা তরী বাঁধা দেখি, মাঝিটা গামছা পেতে
সবে স্নান সেরে, জুড়ানো শরীরে বসেছে খাবার খেতে
সাথে আছে চুনো মাছ দিয়ে কাঁচা আমের পাতলা টক
কি আরামে খেলো আহারাদি শেষে থালে জল ঢকঢক
ছায়া তলে রোজ দুপুর বেলায় রচে নানা জনে মেলা
কেউবা একটু থেমে চলে যায় , কেউবা গড়ায় বেলা।
স্নেহের পরশ মাখান এ ছায়া অবহেলা করা যায়?
বাইরে বেরলে যেন মনে হয় দেহ পুড়ে হবে ছায়!!
চামড়া ঝলসে যায় বেশীক্ষণ থাকলে রোদের মাঝে
জরুরী তলব না থাকলে দিনে, বেরোয় না কেউ কাজে
বাইরে রোদের এতই দাপট গাছেরা সব ঝিমোয়
ঘরমুখো লোকজন কিছু বট বেদীতে পরে ঘুমোয়,
যেন কোন এক নেশার ছোঁয়ায় সব লটপট করে
লাঙ্গল টানতে গিয়ে গরুদুটি অলসেতে মাঠে চরে।
মিনিট পনেরো কুড়ি পর পর লোকজন কিছু হলে
সিরিয়ালে থাকা মাঝি ঘুম থেকে উঠে নিচ পানে চলে।
বটের ঝুড়িতে ত্রিপল টাঙানো , বসে এক চা দোকানী
সকাল দুপুর মিলে কোনোমতে চলে তার দানাপানি
ঝিমান লোকের চমক ভাঙ্গাতে ‘চা চা’ বলে ওঠে
কয়লার আঁচ শুধু বয়ে যায়, কেটলিতে জল ফোটে।
এমন সময় আবার দখিন দিকের বাতাস আসে ,
অনেকে দেখছি উল্টে পাল্টে ঘুমিয়েছে আশেপাশে ।