ঢিমেতালে পথ চলতে দাও- আমার মত
পিছনে পরে থাক সবঃ
আত্মীয়, বন্ধু, বাড়ির আরাম
খালি পা পরুক ভেজা মাটিতে,
মাটি ঢাকা ঘাসে,
ঘাস ঢাকা ফুলে,
ফুল ঢাকা প্রকৃতির সোহাগে
কোন বুদ্ধিমান মানুষ  যেন না আসে
আমার চোখের পথে।
আঁকাবাঁকা যে পথ
তালদিঘির পাড় দিয়ে উঁচু থেকে নিচের দিকে এসে
সামনে গিয়ে দিগন্তে মেশে।
সব কাজ সেরে
তেল কাজল মাখা আয়েশে পথ-চলা গ্রাম্য বধুর মতন
সৌন্দর্যময় পড়ন্ত বিকেল ধরা দিক প্রতিদিন।
সেই পথ হোক আমার চিরকালীন আশ্রয়।
সন্ধ্যায় ন্যুনতম প্রয়োজনটুক মেটাক
জোনাকির আলো,
বাঁশ পাতার ফাঁক দিয়ে আসা জ্যোৎস্না গায়ে মাখতে মাখতে
ভোর হোক প্রকৃতির নিজস্ব কলতানে।
ডালপালার দুচারটি মুঠোতে ধরে
পারি দিয়ে যাব বর্ষার রাতগুলি, দিনগুলি
আমার বামে, ডানে, সামনে
যোজন কিমি দূরে থাক লোকালয়,
পাতলা বাতাস নিই বুক ভরে, চলতি পথে।
যে পথে গত দশ হাজার বছরে কারো পা পরেনি
সেই পথ উন্মুক্ত হও আমার সামনে।
ঝড় এলে তার নাচনের ছন্দে ছন্দে,
তিল তিল করে টেনে নিক প্রকৃতি তার স্নেহশীলা বুক।
সারাদিন জলছবির মত
সামনের দিক থেকে এসে সরে যাক পথ পিছনে।
একবারে দেখা জিনিষগুলি আর যেন না আসে দ্বিতীয়বার।
বড় বড় ঘাস পাতায় ডুবে ডুবে উপভোগ্য হয়ে উঠুক স্বর্গীয় বন্ধন- নিবিড় স্বাচ্ছন্দ্য।
মাটির সাথে খেলতে খেলতে
আমিও কখন মাটি হয়ে যাব সবার জানার আড়ালে।
তারই কোথাও মনুষ্য পরিচিতি বিহীন নালায় পরে থাক নশ্বর দেহ,
আর অবিনশ্বরটা কোটি কোটি বিন্দু হয়ে স্থির হয়ে থাক
ঘাসে ,
মাঠে,
জলে,
তালদিঘির আশেপাশে বহু বছরে গজিয়ে উঠা আটপৌরে লতায়।