সেটি আজ পরিণত অসুস্থ গলি,
আঠের সাল গেছে, তবু এড়িয়ে চলি ।
পা ভারী হয়ে ওঠে বিরুদ্ধ বাতাসে,
কি যেন কাঁটার মত মিশে চলে শ্বাসে,
স্বাভাবিক থাকে না কেন চলার গতি?
ভিড়ে পা চলে জোরে, ফাঁকায় ধীর অতি,
লুকিয়ে চুরিয়ে সেঁটে যায় ছবি চোখে,
যদিও দেখা যাবে না স্থায়ী-পথে ওকে,
বহু আগে সে রোপিত দূরে, কেনা-বাগে।
এ গলির মৃতের মাঝে একা সে জাগে ।
চেনা পোশাক কালেভদ্রে ছাদে উড়ে,
নুপুর-পা হয়তবা পাড়াখানে ঘোরে,
ইট বিছানো হাঁটা-গলি তেমনি আছে,
স্বাভাবিক তবে কেন না আমার কাছে?
এ গলির একটি শ্বাস  বেশী সক্রিয়
ছোঁয়ার বাইরে, গিয়েও সে আজো প্রিয়,
এ গলিতে টুঁটি চিপতে উন্মুখ হাত
না ঘুমিয়ে পথ চেয়ে থাকে দিন রাত,
স্বস্তি আর গা গোলানো ঝড় দাপায়
যবে বাধ্য হয়ে সে পথে পা বাড়াই।
‘শুরু’ ভাল, ‘মাঝে’ ছিল অমিল তাদের,
তাই ‘শেষ’ রচেছে মা শাসন-স্বাদের।