জানি না, ভালবাসার প্রকাশ কেমন?
কেমন করে বলা হয় সে কথাগুলি?
দেহের কোথায় সেগুলি লঘু হয়ে ঘুরে বেড়ায়
আবার, সময়ে তা জমাট বেঁধে শাসন চালায়।
কেমন দেহভঙ্গি হয় সেটি এলে?
আজ উনিশ বছর পরেও
কেমন আয়নার মত ভাসছে সে দিনগুলি;
যদিও সেগুলি ভালবাসা ছিল কিনা জানি না
শুধু স্কুল থেকে কাজে অকাজে বাস-পথ পযর্ন্তই ছিল
হাটাপথ। কথা। খুনসুটি।
আজ,  এক অলস কর্মহীন বিকেলে
ভীষন বেঁধে গেল-
দেহে মনে মতবিরোধ।
শেষবার দেখেছি একুশদিন আগে,
তারপর একবার গিয়ে
দেখা হয় নি -ভাঙা চোড়াও।
তুমি সেই প্যাসেজটায় এসে দাড়াও নি-
তোমার কাজের গতি নিয়ে।
অবশ্য, আমার উপস্থিতি যে মাসে সাত আটবার হয়
তুমি তো জানই না, বছর তিনেক।
যাই হোক-
আজ সন্ধ্যায় গেলাম
এক বন্ধুর বাড়ি।
তোমার পিসতুতো দাদা;
এখানেও চোরাগোপ্তার রসেই বন্ধুপ্রীতি।
ইনিয়ে বিনিয়ে হাজির হল
পারিবারিক ফোটো এলবাম,
অতগুলি মুখের মাঝে
তোমার মুখ পাওয়া গেল না।
দূর্গন্ধযুক্ত শুধু দু কাপ চা
হজম করতে হল।
যেকথা বলা যেত স্কুল বয়সেই
সেকথা বলা হয়নি আজো।
এখন বলেও কিছু হবার নয়,
এখন দুই সন্তান তোমার।
তবু কেন যে ছুট মারি তোমায় দেখতে:
জল ভেঙে, কাদা ভেঙে, ঝড় ভেঙে-
ত্রিশ কিমি দূরে।
তা বোঝার  উত্তর তোমার কাছে থাকলে দিয়ো।
তুমি সেখানেই থাকো
এখন শুধু:
সবার মত একটু কথা বললে,
সবার মত বৃষ্টিভেজা পথে একটু  হাঁটলে
না-বলা কথাগুলি স্বর্গ গড়ত।