রবিবার রাতে, প্রতিবেশী সাথে, কথা চলছিল যেন,
"কি অসুবিধা রে, এই সংসারে, বিয়ে করবিনা কেন?
ছেড়ে মেয়ে বর, সে তো হল পর,  আজকে তিন বছর,
মুসলিম ঘরে, জানি বাস করে, আছে তার 'পরে জোর?
সে সব জেনেও,  গ্লানিটা মেনেও গিয়েছিলি তো ফেরাতে,
ফিরিয়েছে তোকে, কি লাভ ও শোকে? ওর অরুচি এ ভাতে,
আর, এছাড়া, মেয়েটা বেচারা, মাকে পেলে কাছে কাছে,
সমস্যা কত, ঘোরে শত শত, সে সব থেকে তো বাঁচে।
সারাদিনটা তো, দোকানে কাটাস, মেয়েটা বাড়িতে থাকে,
কি হতে কি হয়, প্রাণে থাকে ভয়, জানিস তো তোর মাকে,
মাথাটা পাগল, প্রায় বাঁধে গোল, কাকে বোঝাব কি বল?
গরির ঘরের, ঘরোয়া গোছের, মেয়ে আছে দেখি চল।
রাঁধা ভাত পাবে, বুক ভরে খাবে, মেয়ে ফিরে পাবে কোল;
খোঁড়া সংসার, সারবে তা আর,পাল্টাবে সব ভোল।
মেয়ের কাছে মা, বৃক্ষের সমা, ছায়া দেয়, তাপ রুখে,
তার স্নেহতলে, সংসার চলে, পুজা মা থাকবে সুখে।"
রাত বেড়ে গেল, চোখে ঘুম এল, ঘুমোলাম একা ঘরে :
কি সব ভাবনা, মেলছে পাখনা, স্বপ্নে মা মনে পরে।
দুই রূপ যেন, সামনে পিছনে, আসা ও যাওয়া করে,
চেনাটা যখন, এগোয় সামনে, অচেনা পিছনে সরে।
আঁকি, স্কুলে যাই, গানটাও গাই, সব চলে তাল রেখে,
খেলা ভুলে থাকি, ভাল হবে মা কি? তাই ভাবি থেকে থেকে।
দুই মাস গেল, নতুন মা এল, কিছুদিন বাড়ি ভরা
গেল তারা সব, কমে গেল রব, ধরা হল ফের ধরা।
প্রতিবাদহীন, বাবা চিরদিন,  জ্ঞান হয়ে দেখে যাই
পরের কারনে, চায়তে পারে সে, নিজের লাগি না চায়।
মিটমিটে বাতি, আনবে প্রভাতী, আশা ছিল মন মাঝে,
দেখছি এখন, ভুল ছিল মন, এ যে আরো বেশি বাজে।
কথায় কথায়, শাসকের প্রায়,  হুংকার ছারে ঘরে এক
ভোঁতা কাঠিখানা, তলোয়ার পানা হল বিবাহের বরে।
"না জানি কোথায়, ছিল সে লুকায়, এমন দস্যি মেয়ে,
খুব তারাতারি ভাঙবে সে বাড়ি সুখটুকু যাবে খেয়ে।"
আশপাশে যারা থাকে বলে তারা নদী ঘাটে স্নানে গেলে।
কেউ পথ 'পরে হায় হায় করে, "এমন সোনার ছেলে
রাগ ঝাল নাই, একি হল ভাই! ভগবান নাই আর,
তা না হল এই, ঘরে এল যেই, রোল ওঠে ঝগড়ার।


(দুঃখিত আমি আজও শেষ করতে পারলাম না
আপনাকে  আজও পূজার শেষ কথা শোনালাম না)