নানা অজুহাতে, পরিবার সাথে, মায়ের বাবা-মা ভাই
থেকে যেত এসে, মেয়ে ভালবেসে, আমার দিকে না চায়,
কত হাসাহাসি, বাবা আমি খাশি, কশায়খানাতে ঘেরা,
বন্দী শালাতে,  সবলের হাতে, হবে নাকো ঘরে ফেরা।
দুই তিন মাস,  হেথা করে বাস, তারপর ফেরে বাসা
দেখে কুঁড়েখানা, ফের দেয় হানা, তারা জমিহীন চাষা।


গরীবের থলে, ফাঁকা ছিল বলে, বিয়েটা হয়নি কালে,
সে মেয়ে এভাবে, এত বদলাবে, বাঁধবে সবকে জালে।
বাপের মুখটা,  বোঝাত দুখটা,  চুপ থাকতাম জেনে,
ভাত তুলে খায়, বাবা আমি, তাই,  নিলাম সবটা মেনে।
দখলী দেমাক, করলে বেবাক,  বাড়ির প্রতিটি লোক,
কিশমিশরুপী, এসে চুপিচুপি, রক্ত চুষলো জোঁক।
পুরনো রক্ত, সরিয়ে শক্ত, করে গেঁথে গেল ভিত,
হাবভাব দেখে,  বুঝল অনেকে, আর হল স্তম্ভিত।
বুদ্ধি উদয়, কার কিসে হয়, জানা মুশকিল ভারি,
নিজ সন্তান,  না থাকলে মাণ, থাকেনা শ্বশুর বাড়ি।
এসবের গোলে, এ মায়ের কোলে, এল এক সন্তান,
চমক কিছুটা, যদিও তা ঝুটা, ঘরে এল খুশিখান।
আমার মতন,  মুখের গঠন, তবু আমি সেই দাসী,
মেয়েটি রত্ন, ভীষন যত্ন, আমার রুটিটা বাসি।
পায়খানা করা,  বোনের ন্যাকড়া, কাচতে দিত মা রোজ,
গিয়ে কলতলা,  পা থামাত চলা, 'কাপড়ের মহা ভোজ'
পড়তে বসার, সময় অসার, হয়ে যেত চোখদুটি,
দেহের ক্লান্তি,  ঘটাত ভ্রান্তি, পাতা ভরা কাটাকুটি।
গান, ছবি আঁকা, সে পরেছে ঢাকা, ভাই আসবার আগে,
যে স্যার আঁকাত, দেখলে তাকাত, তাকালে কেমন লাগে!
হারমোনিয়াম, তার কিবা দাম, খাটের তলে সে রয়,
গায়ে মশা ছুঁলে, আঁকা খাতা খুলে, জ্বালানোর কাজ হয়।
বাবা আজকাল,  কেমনি বেহাল, রূপ নিয়ে বাড়ি ঢোকে,
দেহে মন নায়, খায় কি না খায়, যেন ডুবে আছে শোকে।
অনেকটা রাতে, হাত ছোঁয় মাথে, বুঝে যাই বাবা এল,
হাঁড়ি থেকে ভাত, তাতে নাই তাত, সেগুলোই তুলে খেল।


বাবা হোস্টেলে, নিয়ে এল রেলে, কথা হল ঠিকঠাক,
যাবার বেলায়, কাঁদার ভেলায়, "মা, তুই এখানে থাক।"
বলে কোনমতে, তারাতারি পথে, পা রেখে এগিয়ে গেল,
কি হল আবার, দেখিনু বাবার, পা দুটো আটকে গেল।
বাঁ দিকে তাকিয়ে, মাথাটা ঝাঁকিয়ে, হাতটা নাড়াল শুধু,
পাথরের প্রায়, দেখি বাবা যায়, মনে মোর মরু  ধূ ধূ।


(আর একটু আছে, ভাববো, লিখব, দেব। সময় নিয়ে পড়বেন, প্লিজ)