যে মা ভালবাসা, দেবে ছিল আশা, সে গড়ে দিল দেয়াল,
বাপের পাঁজরা, হল তা ঝাঁঝরা, নিয়তির কি খেয়াল!
হোস্টেলে এসে, জুরলাম শেষে, বাড়িঘর হল পর,
পড়ব কিভাবে? তোমার অভাবে, হৃদয়ে তুমুল ঝড়।
পুরনো মার তো, স্মৃতি মোছা যেত, সময়ের তালে তালে,
আমাকে গড়তে, যদি না পরতে, পরিস্থিতির জালে।
বুকের ভেতরে, প্রতি রাত ভোরে, তোমার মুখটা ভাসে,
খুব ভালবাস, জানি তবু আসো, কেন একবার মাসে।
টানা ছুটি হলে, বাড়ি যায় চলে, যারা হোস্টেলে পড়ে,
আমার জানিনা, থাকা যাবে কিনা, যদি নাই ফিরি ঘরে।
থেকো সাবধানে, দিয়ো দেহখানে, যত্ন নিজের মত,
খেয়ো-দেয়ো ঠিক, ঘুমিয়ো ক্ষানিক, রাত জাগিয়ো না অত।
মায়ের কারনে, ব্যাথা এলে মনে, মনে কোরো তুমি মোরে
চোখ বুঁজে রেখো, পুজা বলে ডেকো, আসব ঘুমের ঘোরে।
ব্যাথার আগুন, দুমায়ে দুগুণ, দিয়ে গেল সংসারে,
বিধির লিখন, ছিল তা যখন, কারা খন্ডাবে তারে?
যদি ঈশ্বর, দেন কভু বর, বাবা হয়ে তুমি এসো
বোকো পিতা হয়ে, আমি যাব সয়ে,  মাতা হয়ে ভালবেসো।
হোস্টেলটায়, যদি থাকা যায়, আজীবন এইভাবে
তুমি মাস শেষে, দেখা দিয়ো এসে, সে আশায় দিন যাবে।
দেবতার বরে, পৃথিবীর ঘরে, আসি যদি পাশাপাশি,
একালে হল না, দুঃখ কোরো না, তবে হবে হাসাহাসি।


"পুজার কথা " বলা শেষ:
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে বাস্তবের পুজারা এমন পরিসমাপ্তির পথে না যায়। আপনারা যারা এটি পাঠ করলেন, তাদের কাছে  আমার সশ্রদ্ধ আবেদন, আপনার চেনাজানা পরিমন্ডলে পুজার মত পরিস্থিতি উত্থিত হলে যথাসম্ভব সাহায্য করবেন। এক শুভ শক্তি অলক্ষ্যে  আপনারও মঙ্গল করবেন। ধন্যবাদ,  ভাল থাকবেন।