না, পৃথিবী ঘুরি নি
ঘুরি নি ভারত,
পশ্চিমবঙ্গও না।
ঘুরেছি, কয়েকটা গ্রাম, শহর, কিছু গলিঘুঁজি,
নদীর ধার, আর
আর টুকটাক
যেখানে হেটে যাওয়া যায়।
দেখেছি,  আশ্চর্য ঝিমুনি
জরিয়েছে মানুষের রোজকার জীবন।
নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
মানুষের প্রতি মানুষের টান
তলানিতে ঠেকেছে।
নিজের ঘরে আগুন লাগলে
সে বাঁচতে চায়, পালাতে চায় সর্বাধিক জোরে;
মরীয়া হয় সে ভেতরে বাইরে
নিজের বোনটা রেপ হয়ে গেলে;
দুর্বৃত্তর দল বাজারের মোড়ে
মায়ের ব্লাউজ ছিঁড়ে নিলে সে প্রতিবাদী হয়
দাঁতে দাঁত চেপে
পাশে পেতে চায় প্রতিবাদী হাত।
অথচ সে কানাকড়িও পায় না,
কেননা, দেয় নি সে কোনোদিনই।
পাশের বাড়ির বোন রেপ হয়ে যায়,
আনিতা কাকিমার ব্লাউজ ছিঁড়ে যায় বাজারে,
ছেলেগুলো বুক ফুলিয়ে ঘোরে পাড়ায়, দিনের আলোয়।
প্রোমোটার পুলিশি গুন্ডাদের নিয়ে দুর্বলের বাড়ি হাতায়।
তবু জনগণ নিরুত্তর।
এই নিরুত্তরগুলি জমে জমে হচ্ছে ঝিমুনি,
ঝিমুনির আড়ালে শত্রুরা দিচ্ছে শান,
ঝিমুনিবাবুরা, প্রস্তুত থাক অতর্কিত হামলার জন্য।
তোমাদের প্রত্যেক ঘরে জ্বলবে আগুন,
প্রত্যেক নারী হবে ধর্ষিতা
প্রত্যেক শিশুই হবে তোমাদের শত্রু।
হয়ত, জাতীয় পতাকার রং যাবে পাল্টে।
একশ কোটিরও বেশি জনগণ
অথচ তারা নপুংসক।
এরা একটু সজাগ হলে
"পুলিশ, থানা, বিচার ব্যাবস্থা, কারাগার "
এসবের প্রয়োজন হত না।
অবশ্য, এগুলি থেকেই বা কি লাভ?
খাদ্য দিয়ে ল্যাংড়া হাতি পোষা।