আমাদের পাড়াখান,
একবার ঘুরে যান,
জল নিয়ে হয়রান,
                      হয় রোজ।
বাহুবলী মেয়েরাই,
পেট ভরে জল পায়,
সেরা তারা ঝগড়ায়,
                        নাই বোঝ।।
নামজাদা যত লোক,
হেথা এসে গেলে ঢোক,
ছানাবড়া করে চোখ,
                        চুপ রয়।
যত প্ল্যান সব ফেল,
ভয় নেই থানা জেল,
করে চলে নিজ খেল,
                        এ কি সয়!
ছিল যার টাকাকড়ি,
মান নিয়ে এল সরি,
ট্যাপ নিল তরিঘরি,
                        নিজ ঘরে।
বাকিগুলি দিনরাত,
দেয় অভিসম্পাত,
পেলে করে কুপোকাত,
                            কিল চড়ে।।
ন্যায় নীতি সব শেষ,
জল নিয়ে চলে দ্বেষ,
কেউ বলে, 'ঠুকো কেশ,
                            চুকে যাক'।
পাড়াবাসী চুপ থাকে,
জ্ঞানী গুণী মুখ ঢাকে,
ঘটি, বাটি, থালাটাকে,
                         মারে পাক।।
শালিক কাকের মত,
ঠোকাঠুকি হয় কত,
হাতে ঘাড়ে বহু ক্ষত,
                        বিবাদের।
ভোর থেকে ঝোলে ডোল,
জল এলে ওঠে রোল,
ট্যাপ বুঝি ডাল ঝোল,
                         কী স্বাদের!
পাশে নলকূপ আছে,
ভীড় নেই তার কাছে,
ট্যাপে সব ধোয় কাচে,
                     নাহি সরে।
লোকে ভরা পথখান,
ট্যাপ-জলে করে স্নান,
নারীর কি থাকে মান?
                    তাও করে।।
একদিন শুয়ে রই,
শুনি, "ওমা! ট্যাপ কই?",
গিয়ে দেখি কথা সই,
                    লোকে ভীড়।
বেঁচে থাকো চোর ভাই,
এ চুরিতে পাপ নাই,
ঢেলে দিলে ঝগড়ায়
                  সুখ-নীর ।।