নিজামের দুই চোখে জল আসে যবে থেকে হল ঠিক,
মাস্টার এক এসে শেখাবেন অ আ এ বি সি ক্ষানিক।
বাদ হয়ে যাবে 'বিটি' শিক্ষিকা, যার কাছে আজো পড়ে,
তার কাছে আর যাওয়া হবে না, পড়াবে অন্যে ঘরে।
সেই কবে থেকে পড়ছে এখানে নেই কো মনে খেয়াল
বড়দের মাথা বোঝে না, কোথায় কিসে গড়ে স্নেহ-জাল?
রোডের বাঁদিকে নিজামের আর  বিপরীতে থাকে বিটি,
কাজেকামে তার চোখে চোখ এলে হেসে দেয় মিটিমিটি।
গরম  লাগলে  গামছায় বিটি মুছে দেয় দেহে ঘাম,
পড়া শেষ হলে কোনোদিন বিটি খেতে দেয় কেটে আম।
মশা কামরালে হাত পাখা দিয়ে তাড়িয়ে সরায় তাকে,
কোনো দিন পড়া ভাল না লাগলে বই খাতা ফেলে আঁকে।
বৃষ্টি পড়লে কাপরে জরিয়ে কোলে করে আনে বাড়ি,
পড়বার ফাঁকে ছাদে এনে তাকে মেলে দুইজনে শাড়ি ।
পুকুরের পাড়ে সাপে ধরা কোলা ব্যাঙকে দেখিয়ে আনে,
অনেক মজার গল্প শোনায় পড়া হলে কানে কানে।
বাগানের পথে ভেজা ঘাসে বিটি হাটে আর আমি ছুটি,
বাগানের ডাল পালা জরো করে দুজনে বানায় রুটি।
শালিকের বাসা দেখায় আমাকে কোলে করে কাছে গিয়ে,
বিটি দেখিয়েছে ছোলা-জল ছাদে দিয়ে ডাকা যায় টিয়ে।
এমন বিটির কাছে পড়া শেষ করে দিতে চায় বাপ,
তাই আমি কাঁদি, পড়ব না আর, বলে দিই শুনো সাফ।