গতকাল পাড়াগাঁয়ে ঢুকে গেছে বাণ
কচিকাঁচা বাগানেই কি মজার স্নান!
হাফ প্যান্ট কেউ পরে, কেউ লুঙ্গি সেঁটে
কেউ ছুটে লাফ দেয়,  কেউ নামে হেটে।
ভেসে গেছে ডোবা খাল আশপাশ গাঁয়ে,
মাছের লোভেতে জলে নামে ঝিয়ে মায়ে।
মশারীতে ধরে কেউ, কেউ দিয়ে জাল,
ডুবে যাবে জলে, তাই নানি দেয় গাল।
লুতফুর নিকি আর সাহেবের কাকা
মাছ ধরে লুটছেন বেশ কিছু টাকা।
সেই মাছ কেনা যায় বেশ কম দামে,
কেনা বেচাটাও চলে রাস্তার বামে।
পিচ রোডে হাঁটু জল স্রোত নিয়ে বয়
জানালায় বসে শিশু নিচে চেয়ে রয়।
নিচ তলে মেঝেখানে জল দুই হাত
ভাগ্যিস হয়েছিল দোতলার ছাত।
তাই রবিনের নানা নাতিটাকে বলে,
"চল, দাদুভাই,  হাটি গিয়ে বান জলে"
বড়দের ব্যাস্ততা বান থেকে বাঁচা
আর ছোটদের মজা, আনন্দে নাচা।
খাট চৌকি উঁচু করে গরীবেরা থাকে,
নিরুপায় হয়ে তারা আল্লাহকে ডাকে।
বাগানের ঘাসপাতা দেখা যায় নাকো
হাত দুই জেগে আছে বাজারের সাঁকো।
তার পরে মুড়ি চপ বেচে কেনারাম
দু 'টাকার চপ হয়ে গেছে তিন দাম।
তবু সুখ মুড়ি নিয়ে হাটাহাটি করা,
কিছু স্থান জেগে আছে, বাকি জলে ভরা।