জীবনের ডায়েরীটা রোজ যায় বেড়ে
কিছু কথা তাতে রয়, কিছু ফেলি ঝেড়ে।
জমানোর ঘর থেকে কিছু কথা এসে
পায়ে পায়ে ভীড় করে 'আজে' এসে মেশে।
নিজ নয়, পর নয়, 'দাদা দাদা' বলে
ডোমপাড়া দিয়ে তার যাতায়াত চলে।
স্নান সেড়ে রাখি এনে পরাত সে হাতে
ফি বছর এই প্রথা হত তার সাথে।
এ বছর এল না সে, সাঁঝ হল শেষ
মনে তবু রয়ে গেল, রাখির আবেশ।
আগেকার পথ দিয়ে যায় না সে আর
অকালেতে প্রেম, বিয়ে, হল সংসার।
শোনা কথা : ঝামেলাও পুহিয়েছে খুব
হতে পারে সে কারনে আজ তার ডুব।
ছেলেটার মদ, জুয়া সব গুণ আছে
এ কারনে গিয়েছিল দড়ি দিতে গাছে।
এ ক'দিনে রোগে ভুগে মৃতপ্রায় দেহ
শ্বশুরের ঘরে করে যতন না কেহ।
খাতা পেন শেষ হলে আসত এখানে
গরীবের লাজ নিয়ে বলত তা কানে।
যা পেরেছি দিয়েছি যা আমার সীমায়
ইট বহে বাপ তার ঘরে কি বা পায়?
চাল ডাল কিনতেই হয় নাজেহাল
কেউ ঘরে বিড়ি বাঁধে, কেউ বোনে জাল।


পাশাপাশি দুটি গাছ দেখা যায় তাকে
আড়ালে যে বহু মূল আঁকড়ে তা থাকে।
সে তো মিশে জড়াজড়ি তিল তিল ক্ণা
সে বাঁধন সহজেই জানে কয় জনা।
এভাবে সে জুরে যেন ধান গাছে শীষ
আমি ভাই, বোন আমার পারলে আসিস।
রাখা আছে তোর প্রিয় কেক, বিস্কুট
লাজ, ভয় দূরে রেখে দে না বোন ছুট।