মানুষকে বোঝা দায়
বাইরেটা দেখে,
কম দিয়ে বেশি চায়
ভেতরটা ঢেকে।
পড়াতে যাওয়া শুরু
করি, কাছে বাসা,
বড়োলোকে পরিচিতি
বাড়িঘর খাসা।
তার মেয়ে টেন-এ পড়ে
মাস্টার চায়,
আমারো অভাব ছিল,
তাই কাজে যাই।
দেখলাম সেথা এক
কাজ-করা মেয়ে,
অনাহার-মেশা দেহ
আদরের চেয়ে।
সব কনিষ্ঠতম
গতির চালিকা,
হয়েছে মা-বাবা ছেড়ে,
মালিকের ঠিকা।
রংচটা পরিধেয়
যা সে পরে রয়
ধনী গৃহে কুমারীর
যা সে ফিট নয়।
ন্যাতা করবার আগে
বুঝি তা সে পায়,
নীরব মুখের ভাষা
থেকে জানা যায়।
শিল- দাবা বহু ব্যাথা
দেখি মুখে তার,
পরিচয় হলে কিছু
তার করি বার।
অজ গাঁয়ে থাকে বাবা
মা ও তিন বোন,
দাদাটা ডুবেছে বানে,
দু'শাল যখন।
মুদি-ঘরে মাল মাপে
বাবা গঞ্জ হাটে,
আগে নাও পাড়ি দিত
সে শিমুল ঘাটে।
বোনটা পোলিও রোগে
হয়েছে শিকার,
হাটার সুযোগ কভু
পাবে না সে আর।
বড় আর মেজ দুই
মেয়ে পর-ঘরে,
ছ'মাসে ন'মাসে ফেরে
মনিবের বরে।
তাও ফের মাপাজোকা
ঘড়ির কাঁটায়
মা'র ঘরে তারা এলে
ক'দিন কাটায়।
মায়ের আঁচল পাতা
থাকে চালাখানে,
মনিবের লোক ঝি'কে
নিতে গাড়ি আনে।
                (চলবে)