তোর ঘরে যাবার দরজা তো বন্ধ এখন,
বয়সের ভারে ন্যুব্জ আমিও।
জানালাগুলো তো খুলে রাখতে পারিস,
সবার জন্য যেমন থাকে;
আর পাঁচজন যেভাবে চলাচল করে;
যেমন যায়:
ভাই-বোন-বন্ধু, পরিবারের অন্যান্য সদস্য,
সব্জীওয়ালা, দুধওয়ালা, কেবল লাইনের পল্টুদা।
আমার প্যারালাইজড জীবনে
প্রকাশ হওয়াটা স্বাভাবিক নয়,
কারন
সংবেদনের তন্ত্রীগুলি
অন্তর্মুখী সজাগ,
বাইরে নয়।
আমি কি এতই ভয়ানক রে!
গত ত্রিশ বছরে কি কিছুই বুঝিস নি?
দরজায় খিল দিয়ে
পিঠে ঠেঁস দিয়ে জেগে থাকিস।
আগামীর মাঠে তো
আমিও ম'রে যাব
সময়ে তুইও
মাঝের দেওয়ালগুলিও
চেনা-অচেনা মুখ
সব।
এখন তো একটু আলগা হ,
পেশিগুলি শিথিল কর।
দেহের যা হারানোর ছিল ব'লে ভয় করেছিল ওরা
তারা তো বৃথায় রাত জাগল,
তুইও তো দেখলি।
তোর ঘরেই তুই থাক
আমাকে একটু বাতাস এনে দেনা তোর ঘরের;
আমাকে একটা চোখ হতে দে
যা ঝুলবারান্দার তুলসীমঞ্চে
স্থির থাকবে:
ভোর-সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত
আবার ভোর।
আমি তোর নিজের মত চলাফেরা দেখব।
যেগুলি আলোতে দেখতে চেয়েছিলাম
সেগুলি না হয় আঁধার হলেই দেখতে পাব।
শুনেছি -
প্রেম তো ম'রে না।