যদি দেখা যায়
তবে দেখা যাবে- একটা শরীর,
মানব দেহের অবয়বে।
তার একটা নাম আছে: রীনা, দীপা , নীলা,
পৃথিবীতে হাজারটা রীনা আছে, হাজারটা দীপা,
হাজারটা অমুক, হাজারটা তমুক,
সেটা হতে পারে পুরুষ বা নারী
যা মাংশ দিয়ে ঢাকা;
তারও আবার আছে একটা রং: কালো হোক, ফর্সা হোক;
সেটাও ঢাকা রং-বেরঙের পোশাকে।
নানারকম পোশা :
চুড়িদার, শাড়ী, আরও কত কি?
এগুলি দোকানেই পাওয়া যায়-
কিনলেই হল।
কিন্তু কি আশ্চর্য!
পোশাকে ঢাকা দেহ,
সাদা কালো ত্বকে ঢাকা
কংকালসারের কাঠামো।
এদিক ওদিক হাটে,
শব্দ হয়, কথাবার্তা হয়,
হয় হাসি-কান্না।
চুপ-কথা, ফিস-কথা, হয় কথার লুকোচুরি।
এরই জন্য মানুষ কিমবা প্রানী
যোজন কিমি পাড়ি দেবার ধৃষ্টতা দেখায়?
পার করে চরাই উতরাই পথ,
বাঁধে রাজায় রাজায় যুদ্ধ,
ভাঙে দেশ।
বিকল্প নেই সেই দেহধারী মানুষটার।
এটিই চায় সে,
এর কার্বন কপিও চলবে না,
বিন্দুকে পেতে চেয়ে সিন্ধুকে হারানোর জন্য অনায়াসে বুক চিতিয়ে ধরে।
কি আছে সেই বিন্দুতে?
যা পৃথিবীর কোন সিন্ধুতে নেই,
কখন কিভাবে সেটি এত প্রিয় হয়ে ওঠে?
কি থাকে সেই প্রথম দেখার মুহূর্তকালে?
এক বিন্দুর ওজন হয়ে যায়
এক পৃথিবীর চেয়েও বেশি।
যা সবকিছু থেকে তাকে আলাদা করে তোলে:
সব মাস থেকে,
সব বছর থেকে,
সব রক্ত মাংসের কংকালসার থেকে,
এমনকি 'তার' মধ্যে থেকে 'তাকেও'।