তোমরা ছিলে সেদিন,
যেদিকে রাম চন্দ্র নিজের স্ত্রীকে অবিশ্বাস করে
অগ্নি পরীক্ষা দিতে বলেছিলেন।
তোমরাই তো এই কাজের জন্য
তাঁকে শ্রেষ্ঠ রাজার উপাধি দিয়েছিলে।
ভারতবর্ষের আদর্শ রাজা ঘোষণা করেছিলে।
তোমার সেদিনও ছিলে,
যখন রাজ সভায় জুয়ায় দ্রৌপদীকে
বাজি রেখেছিল তার গুনবান
পাঁচ স্বামী।
তোমরাও তামাশা দেখেছিলে।
তারপর সেই জুয়াড়ি লোকগুলোকে
তোমারা বললে ধর্মবীর যুধিষ্ঠির,
বললে বীর যোদ্ধা অর্জুন।
যে পুরুষ স্ত্রীকে সন্মান দেয় না,
তার আব্রু রক্ষা করে না,
তোমাদের সমাজে তারা ধ্রুবতারা।
তাদের তোমারা পূজ কর।
তোমারা তো শিখিয়েছ মেয়েদের
অবিশ্বাস্য করতে,
তাদের সতিত্বের প্রমান চাইতে।
তোমরা শিখিয়েছ, মেয়েরা জয় করে
আনা পন্য, যাকে ইচ্ছে মত পরস্পরে
'ভাগ' করে নেওয়া যায়।
তোমরা দ্রৌপদীকে সোচ্চার হতে শেখাও নি,
সহ্য করতে শিখিয়েছ।
সীতাকে প্রতিবাদ করতে বলো নি,
অপমানে আত্মাহুতি দিতে শিখিয়েছ।
আজ তোমারা নারীবাদী হয়ে ফের।
'মেয়েদের ইচ্ছে মতো কাপড় পরার
অধিকার আছে' বলে চেঁচাও।
আর সেই তোমারাই একজন ধর্ষিতাকে 'নষ্ট মেয়ে', 'পঁচা কুমড়', বা 'এঁটো শশা' বলে বেড়াও।
সেই তোমাদের আঁকিয়েরা ল্যাংটো
মেয়ের ছবি এঁকে লক্ষ্য লক্ষ্য
টাকা কামায়,
আর পেটের দায়ে তোমাদের লকলকে
লোভের সামনে কাপড় খুললে একটা
মেয়ে 'বেশ্যা মাগী' হয়ে ওঠে।
তোমারা সেদিনও ছিলে,
আজও আছো,
তোমারা সেদিনও সীতার অগ্নিপরীক্ষা দেখে,
দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ দেখে মজা নিয়েছিলে।
তোমারা আজও মিটিং মিছিলে
টিভিতে একটা মেয়েকে লুন্ঠিত
হতে দেখে মজা নাও।