ফেসবুকে চারাশটা  ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ,
আরও আটশো টা ফ্রেন্ড রুমির –
তবুও এই কথাটা কারুর সাথে শেয়ার ক র তে পারছে না রুমি –
অফিসের বস সুযোগ নিতে চায় ,
নইলে প্রমোশন বন্ধ , চাকরি টাও যেতে পারে –
আজকালকার দিনের স্মার্ট , ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়ে রুমি ,
বেশ-- বুদ্ধিমতী ,
এতদিন আভোয়েড করে গেছে –
কিন্তু এবার ?
রঞ্জন কে এসব বলাই মুশকিল –
আর পাঁচ পুরুষের মত একিই রকম কথা ওর –
এসব জানলেই আর এক বিপদ ,
সঙ্গে সঙ্গে বলবে চাকরি টা ছেড়ে দাও ,
তোমার কি কোন অভাব রেখেছি আমি ?
আর শাশুড়ি মা জানলে তো ,
কথাই নেই –
রুমির চরিত্রটা আর একবার ঘেটে দেখা হবে ?
খুঁজে দেখা হবে কোন্দিন রুমির ঠোটে ছিল লিপ্সতিক টা কত বেশি ?  
কোনদিন রুমি ফিরে ছিল রাত করে –
কোন দিন রুমি পরেছিল মিনি স্কার্ট –
কোন দিন সে ফোনে ছিল  বয়াস্ত সারাক্ষন –  
বিয়ের পর রুমির চাকরি করা নিয়ে বড্ড আপত্তি ছিল যে শাশুড়ি মায়ের –
নেহাতি সেদিন রুমির জেদের কাছে মেনেছিল হার ,
কিন্তু এখন উপায় ,
ঘুম হীন চোখে রাতের বিছানা ছেড়ে ,
ব্যাল্কনির রেলিং ধরে দাঁড়াল রুমি -
  রাতের শহর লুকিয়েছে সব ক্ষত ক্লান্ত গভীর ঘুমে ,
জমাট কুয়াশায় যেন শহরের শরীরে সপ্নের ছায়া ছোপ –
বড্ড ক্লান্ত লাগে রুমির , খুব একা লাগে  –
রঞ্জন এখন নিশ্চিন্তে ঘুমোছে –
পাশে পড়ে থাকা আয়স্ট্রে তে জমে থাকা সিগারেটের ছাই –
রুমির জীবনে কঠিন লড়াই ,
রূমি একবার তাকাল
ব্যাল্কনিতে থাকা কাঁটায় ভরা ক্যাকটাসটার দিকে , ও প্রতিবাদ জানে ,  
জানে আত্ম রক্ষার লড়াই –
রুমি মনে মনে বলে উঠল মি টু -


ঘুমহীন  রুমির দুচোখে আগুন জ্বলে ওঠে  ,
তবু নিজেকে শান্ত করে ,
এখন তো চারিদিকে “ মি টু”  প্রতিবাদ ,
না না রুমি রাজি নয় , কোনমতে নয় রাজি নয়  
চাকরিটা হারাতে  –
তবে কাজটা বেশ কঠিন ,


কখন যে রাত শেষ হল কে জানে –
সব অন্ধকার মুছে দিল আলো -  
আজ সকালে   স্নান সেরে  একটা নীল শাড়ি পরেছে রুমি ,
চোখে ঘন কাজল টেনে হাসি মুখে –
একটা সেলফি  ফেসবুকে পোস্ট করল রুমি ,    
তারপর খোশ মেজাজে সোজা অফিস –
অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই জানতে পারল ঘট্নাটা ,
ও মা কি বাজে- ব্যাপার ,
আজই ভোররাতে বসের বাড়ীতে এসে
বসের হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে গেছে  একটা  চোর …………… সে আবার নাকি মেয়ে।


ক্যারাটে তে ব্ল্যাকবেল্ট ,
ছিপছিপে সুন্দরী রুমি আসলে কাঁটায় ভরা ক্যাক্টাস -