নির্ভীক দুঃসাহসী –
জীবন এর মাঝে দীপ্ত উজ্জ্বল ,
যার প্রতিটি নিঃশ্বাসে আছে বাঁচার অনুভব।
যার প্রতিটি বাক্য তেজময় ,
যার দুচোখ স্থির
যার পৌরুষ্যে আছে মনুষত্ব ,
যে চির মুক্ত স্বাধীন ,
যার স্বেচ্ছা চারের ধৃষ্টতায় কম্পিত ভিরু-কাপুরুষ ,
যার বলিষ্ট বাহুতে
বাধা পড়েনাকো শক্তির অহংকার –
যে বীর ক্ষমায় মহান ,
যে ধ্যান মগ্ন যোগী সত্যের সন্ন্যাসী ,
গৈরিক বেশে কঠোর সাধনায়
সাধিছে অনন্ত প্রেমে ,
যার অনন্দ হাসি হয়নাকো ম্লান সহস্র দ্বিধায় ,
যে নিজ চেতনার মাঝে চিনিছে বিশ্বলোক ,
যার প্রতিক্ষায় নারী বিরহীনি চিরকাল ,
পাহাড়ের স্তব্ধতা যার গাম্ভীর্য্যে ভরা
যে চির মহান চির প্রেমিক
যে চির উষ্ণ চঞ্চল চিরকাল বহমান স্রোত –
নিজেকে করেনি বন্দী
নিজেকে করেনি দীন –
যার উষ্ণ বুক পাখীর নীড়ের মত নারীর আশ্রয় –
যাকে মনে বেধে প্রিয়ারা সাধিছে প্রিয়রে গভীর অনু রাগে –
সেই বীর , সেই মানুষ ,সেই সন্ন্যাসী ,যোগী প্রেমিক –
তোমাকে বলছি পুরুষ , তোমাকেই –
যে আসনে নারী বসিয়ে তোমায়
শত শ্রদ্ধায় দেয় অঞ্জলি ,
সে আসনে বসাও নিজেকে –
আপনাকে দাও আপনত্ব  ,
নিজেকে কোরো না হীন ,
নিজেকে কোরো না দীন ,
নিজেকে ভুলিও না তোমার মিথ্যে অহঙ্কারে –
তোমার দীনতায় আমি নারী লজ্জিত কতকাল ।