আকাশ তো এখনও নীল আছে,
আগের মতোই নক্ষত্রেরা রোজ রাতে
সাজিয়ে দেয় সমগ্র আকাশ আর
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে মায়াবী আলো।
তবুও আকাশের দিকে তাকাতে ভয় করে,
নক্ষত্রেরা আমার দিকে এক অবাক চোখে
কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকে।
আমি চাইনা আর কোন নদীর তীরে যেতে,
কিম্বা কোন স্বপ্নের ঘাটের কাছে,
যেখানে বাঁধা ডিঙি নৌকার দোলা দেখে
মনে দোলা লাগে, মন চায় ভেসে যেতে।
নদীর ঢেউ যেন ধ্বস নামিয়ে দিতে চায়
আমার যন্ত্রণার ভিতে, যা বয়ে বেড়াই
আমি সতত রাত্রিদিন আমার সত্তার মাঝে।
শুধু বিজনে বসে থাকি একা আমি,
বুকের ভেতর জ্বলে প্রগাঢ় আগুন,
জ্যোৎস্নাও পারেনা কোন প্রলেপ দিতে।
দুরাশার মেঘ চাষ করি তীব্র খরায়,
মিলানপ্রয়াসি শব্দগুলি কবে হয়ে উঠবে গান,
বহু পথ ঘুরে ঘুরে কোন এক
কালো দীঘির কিনারে এসে তুলে নেব
এক আঁজলা টলটলে শীতল জল,
বৃষ্টিহীন ভস্মমাখা দিনের শেষে এক প্রশান্ত বিকাল।
আনমনে বসে শুধু লিখতে থাকি
এমন এক নিস্পত্র গাছের তলে,
যেখানে কোনদিন কোন পাখি বসে না,
আমার স্পন্দিত বুকে নামে বিষাদের ছায়া,
দিনভর রাতভর বজ্রাহত অভিমানে।