সঙ্গীহীন অপরাহ্নে শহরের পথে চলি,
পাশ দিয়ে ছুটে যায় অসংখ্য যানবাহন,
থাকি সীমাহীন উদাসীন, হই না বিব্রত।
অথচ শরীরের ভিতরে জীবনের মর্মমূল
যেন থরথর করে কাঁপে অবিরত।
নিজেকে মনে হয় যেন শাপগ্রস্ত,
অহেতুক অকারণ আগন্তুক, ভ্রান্তিবশত।
দীর্ঘ রুক্ষ পথ দেখে দেখে হয়ে যায়
দুটি চোখ কি ভীষণ ঝলসানো।
অকস্মাৎ সামনে সবুজের ঢেউ খেলে যায়,
একটি বাগানের উদ্ভাসনে প্রাণ ভরে ওঠে,
পটভূমি হটাৎ করেই কেমন পাল্টিয়ে যায়।
বাগানের সবুজ গাছ, ফুল, পাখিরা, আমাকে
যেন ডেকে বলে, অনেক তো ঘুরেছ,
তুমি পথে, বিপথে, দুঃস্বপ্নে, বিভ্রমে,
এবার জীবনে তুমি নতুন করে বাঁচো।
বাগানের মৃদু হাওয়া স্পর্শ করে আমায়,
মুছে ফেলে ক্লান্তি নিস্তেজ শরীর থেকে,
প্রকৃতি যেন এক দয়িতার রূপ নেয়।
মনে জাগে আশা, শেষ বিকেলের আলোয়,
আমি শুয়ে থাকি আনন্দের অনুভূতি নিয়ে।
ঘুম ভেঙে দেখি অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার,
মাটি ফুঁড়ে উঠে কঙ্কালরা হাওয়ায় হাসে,
বিষধর সাপেরা যেন আমাকেই তেড়ে আসে,
আমার সঙ্গী হতে আসে আমারই প্রেত,
তার হাত ধরে আমি তারই পাশে হাঁটি।