কেন যেন মনে হয় আমার
ভোগ করে চলেছি নিরন্তর আমি,
এক অজানা শাস্তি, বুঝিনা কিছুতেই।
যেন এক কাঁটাবনে পড়ে আছি,
সারা শরীরে গাঁথা দুঃস্বপ্নের ক্ষত।
চুপিসারে চলে যেতে চাই,
কোন এক অজানা, অচেনা পথে।
ঘুরতে ঘুরতে কোথায় যে চলে যাই,
বুঝে ওঠা হয়ে পড়ে খুব মুশকিল।
প্রকৃত গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে
স্বস্তি বোধ করা হয় না আর।
নিজের নির্বুদ্ধিতা নিজেরই অসহ্য লাগে,
দু চোখে অসহনীয় ক্লান্তির ছোঁয়া নামে।
ঘরের মেঝেতে আর সারা বিছানায়,
যেন ভরে যায় অসংখ্য কাঁকর আর বালি।
সকাল দুপুর, বিকাল সন্ধ্যা পেরিয়ে
মধ্যরাতে শুয়ে থাকি ঘাসময় মাঠে,
নীলাকাশে দেখি অশ্বিনী, ভরণী,
বিশাখা, রেবতী, আরো কত নক্ষত্র।
তারা যেন ছড়াতে থাকে অসংখ্য মণিমুক্ত,
কোন এক জাদুবলে আলাদা মানুষ হয়ে
আমি বিস্মিত, উদ্দীপ্ত, থরথর হাতে,
সেগুলো কুড়িয়ে নিই আর আমার কবিতার
ছেঁড়া, মলিন পাতাকে পূর্ণতা দিতে চাই।