বেশ অভিনয় করতে জানো তুমি,
আমি মুগ্ধ হয় নিজের চেতনায় ।
যান্ত্রিক এই হৃদয় উড়ে যায় ডানা মেলে,
মনের খাঁচা ভেঙে দুঃখ নিস্ব হয় ।
তোমার প্রতিটি মায়াবি কথা
বুকে বিধে যায়
বীর যোদ্ধার  ছুড়ে দেওয়া তীরের মত ।


তুমি অপরুপ,
তুমি শিশির ভেজা শিউলি  ফুলের  মত স্নিগ্ধ,
তুমি বর্নময়  রোদের  ছটা .
পদ্ম পাতায় এক বিন্দু টলমল  জলের মতো তোমার হাসি,
তোমার দু চোখ আঁধো অন্ধ্কারে
আকাশের বাঁকা চাঁদের মতো ।
আর ঠোঁটের কথা না হয় থাক,
আমায় দাওয়া তোমার প্রথম​ চুম্বন,
তা না হয় গোপনেয় থাক মনের  চিলেকোঠায় ।


অবিনস্বর সেই মুহুর্ত টা রোমন্থন জাগাই এখনো,
মাঝে মাঝে দিক হারিয়ে ফেলি ...
মাঝ সমুদ্রে ভাসা নাবিকের মতো ।
রোমাঞ্চিত শরীর জোনাকি হয়ে যায়,
অন্ধকারেও  এক চিলতে সবুজ আলো ছড়ায় ,
হয়ত  তোমায় খোঁজে হাঁতড়ে হাঁতড়ে...
ব্যর্থ সেই অনুসন্ধান ।


তুমি বরাবরি বলতে,
যদি আমরা আলাদা হয়ে যায়,
যদি আমরা অভিমানী হয়ে যায় ,
আমি তোমার সেই মায়াবী কথার অর্থ  বুঝিনি,
হয়ত  কোনদিন বোঝার চেষ্টাও করিনি,
আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে তোমার মুক্ত ঝ্ড়া কথায় শুনে যেতাম নীরবে
আর  মাঝে মাঝে বলে উঠতাম
এই পৃথিবীর বুকে যতদিন গাছ জন্মাবে,
এই পৃথিবীর দেহে যতদিন নদী  বইবে,
ততদিন আমাদের  কেউ আলাদা করতে পারবে না ।


আমি বিভর ছিলাম তোমার ভালোবাসায় ।
অবিভুত হতাম তোমার  উষ্ণ  নিঃশ্বাসে  ।


এই পৃথিবীর প্রতিটি জীব আজ আমায় বৃদ্ধ বলে,
আজো পৃথিবীর বুক চিরে  নতুন গাছ জন্মায়,
নদী বয়ে যায় পৃথিবীর দেহে ।
তবে আমার করা সেই অঙ্গীকার,
আজ  মিথ্যে গল্প হয়েছে ।
সব  হয়েছে  রুপকথা ।


এখনো সেই প্রথম​ অথবা শেষ
চুম্ব্নের রেশ মনের চিলেকোঠায় বন্দি
যাবজ্জীবন সাজা  প্রাপ্ত কয়েদির মতো ।


অভিমানী হয়েই  হারিয়ে গেলে তুমি
চীরতরে , আমায় একা করে ।