বেগুণীয়া গ্ৰামের মুক্তার কথা বলি,
মেয়েটা গ্ৰামের কালু ডোমের বেটি।
গ্ৰাম থেকে প্রথম ডাক্তার হ‌ওয়া মেয়ে,
ওদের একচালা মাটির ঘরের পাশে..,
আগুন জ্বলতে দেখে ওর ডাক্তারী পড়ে।
হাহুতাশ কান্নার মাঝে ফট্ ফট্ শব্দে ঘুমিয়ে পড়া,
ভোরের বেলায় কালু ডোমের বাঁশের লাঠির শব্দে
ঘুম ভাঙ্গা।
সবাই বলে দেহ সৎকারে কালুই হলো গ্ৰামের সেরা,
মুক্তা সুধায় একদিন আমি হব তোমার মতো সেরা।
কালু ডোমের চোখের জলে বলে অসম্ভব সেটা,
চাই না তোর জীবন হোক আগুন নিয়ে খেলা,
মেয়ে মানুষের এত খাটনি স‌ইবে কিসেরে বেটা ?
আমার কাজে মনটা মরে রোজ নিমিষে..
মুক্তা বলে আমি কাজ করবো জীবন নিয়ে,
আগুনে দেহ যাতে না পোড়ে অকাল মৃত্যু দেখে।
আজ কালুর মেয়ে ডাক্তার সবাই বলে চেনে,
কালু বলে আমার কাজ কমেছে শ্রম কমেছে..।
মুক্তার হাতে গ্ৰামের জীবন জীবনী ফিরে পেয়ে,
গ্ৰামের মানুষ মুক্তি খোঁজে মুক্তার হাত ধরে..
কালুর চোখে খুশির হাসি মিটেছে মনের খিদে।
মুক্তার চোখে আগুন শিখিয়েছে ভালোবাসা,
মনপুড়িয়ে জীবন সৃজনের অনুভূতির পরিভাষা।