তোমার সাথে সেদিন হঠাৎ বাসে দেখা
সীট ছিলো না বলে উঠে গিয়ে বসতে বলা
ব্রেক মারার ধাক্কায় ভারসাম্য ছিলো ভুলভাল
একটু ক্ষমা চাওয়ায় তোমার মুখে মৃদু বিরক্তি চাল।
জীবনের কখনো ব্রেক দেখা যায় না
হৃদয়ের ব্রেক আছে সেটা দেখাও যায় ‌।


হৃদয়ে ব্রেক পড়েছিলো তোমার ওই মৃদু হাসিতে
তারপর কেটে গেছে অনেকদিন কলেজ ক‍্যাম্পাসে
রোজ দেখা করা কফি হাউসে আড্ডায়
সময় কেটেছে অন্তহীন ভালোবাসায়
কত মান অভিমান স্বপ্ন দেখা হাত ধরে পথ চলায়
ছিলো না কোন বাড়ীতে যাবার তাড়া
রোজ দুজনের মনে জোৎস্নার আলো মাখা।


আজও মনে আছে সেই কালবৈশাখীর রাত
হৃদয়ের সেই প্রলয়ের সন্ধিক্ষণ তুমি বৃষ্টিতে ভেজা
জানিয়েছিলে বিরহের কথা হারিয়ে যাবার কথা
হাজার বজ্রনিনাদ মনে বেজেছিলো প্রশ্নের জিজ্ঞাসা
অবন্তিকা কেন তোমার দেহে ছিল পাথরের স্থবিরতা
স্তব্ধ তোমার কথা যেন অবুঝ প্রেমের আর্তনাদ।


আমি পারিনি আটকাতে কালিমা মাখা রাত
তুমি চলে গেলে যেমন অমবস‍্যায় চন্দ্রিমা ঢাকে
চোখের জোৎস্না আমার অস্তমিত আজ
আমি বড়ই একা পারিনি তোমাকে ভুলতে
মন আনন্দে পুনরমিলন উৎসবের ডাক পেতে
জানতাম অবন্তিকা আসবে এলাম তাই দেখতে।


শুনলাম তুমি এসেছ সারা শরীরে শুভ্রতার আচ্ছাদনে রজনীগন্ধার গন্ধ যেন জীবনের বড় অভিসম্পাতে
পেলাম তোমার লেখা শেষ চিঠি তাতে অন্তিম স্তবকে
লেখা অবন্তিকা তোমাকে আজও ভালোবাসে 
আমার চোখে অশ্রু নামে হৃদয়ে কাঁপে অনুশোচনাতে।