আমি শুনেছি তোমার বাঁশি আজ প্রভাতের আকাশে,
অর্কর আগমনের পূর্বে পক্ষীদের কলরবে মাঝে।
তোমার মুরারির সুর ধ্বনিত সকল প্রাণীর প্রানে
আমি শুনেছি তোমার বাঁশি প্রত‍্যহ রাতে
ঘুমেতে গিয়ে মনের অন্তরে
মন্দিরের ঘণ্টার ধ্বনির পূর্বে আরতির সাথে।


নিলাদ্রী কে কাছে পেতে আমি গিয়েছি নীলাচলে,
কখনো গিয়েছি বদ্রীধামে,তিরুপতির দরবারে।
আমি শুনেছি তোমার বাঁশি রাখাল বালকের সাথে,
হরিপ্রাসদের চৌরেসিয়ার আসরের মাঝে,
ভুলেছি জীবনের যত অবসাদ তোমার ওই বাঁশির মধুর সুরে,
আমি শুনেছি তোমার বাঁশি জীবনের জয়গানে,
দিনের শেষে দুপুর বেলায় ওই বাঁশি বেচতে আসা আবদুলের কাছে,
কখনো গ্ৰামের রাঙামাটির পথে পারুলের মুখে।


আমি শুনেছি তোমার বাঁশি নিধুবনের অন্দরে,
রামলীলার ময়দানে কখনো ভোরের কোকিলের ডাকে ।
আমি শুনেছি তোমার বাঁশি স্বাধীনতার প্রাতঃকালে।


মনে পড়ে হ‍্যামিলনের বাঁশিওলার কথা।
যাবার সময় হয়ে এলো তোমার সাথে
বাঁশি শিখবো তোমার পাশে বসে ।
হে করুনাধি জগতপিতা আমার
তোমার এই জন্মদিনে শোনাও না আবার
তোমার সেই মনমোহিনী বাঁশি ।
করবে দূর জাতপাতের বিভেদ যত,
তোমার ওই বাঁশি ।