শরতের প্রভাতে হেঁটেছিলাম ওই লালমাটির পথে,
সোনালী রৌদ্রের খেলা কাশফুলের চারপাশের প্রান্ত‍রে।
লুকোচুরি খেলা দেখি শুভ্রতাকে আড়াল করে,
আগমনী সুর বাজে মনে দেবীপক্ষের আহবান অন্তরে।


বিকেলে মেঘ দেখতে পাওয়া একপশলা বৃষ্টিতে ভেজা,
পথের দুপাশে হাল্কা মৃদু বাতায়নের স্নিগ্ধ স্পর্শ পাওয়া।
মাথার উপর এসে পড়ে উড়ে আসা জলের ছিটে,
কাশফুল দোলে আনন্দে আগমনীর সুরে ।


মনে পড়ে পথের মাঝে দুজনের হাঁটা হাতে হাত রেখে,
মনের সব কথার সাক্ষী পথের মিহি দোলা কাশফুলে।
আজ মা এসেছেন কাশফুল দোলে দেখি ঢাকির তালে,
বিকেল গোধূলি বেলায় হাঁটি একা একা তুমি নেই কাছে।


তোমার বিসর্জনের শেষে মন রিক্ত আজ,
শুভ্রতার কাশফুল দোলে না আর একাকীত্বের ক্রন্দনে।
ওরা ক্লান্ত অপেক্ষায় তোমার হাতের স্পর্শের স্নেহাদরের,
চারিদিক স্থবিরতা এক তোমার অভাবের।


তুমি শুভ্রতার চাদরে লিপ্ত,শায়িত চিরশান্তির আচ্ছাদনে,
কাশফুলের অভাবের গুঞ্জন মৃদু ভাসে কানে‌।
আমি হেঁটে চলি একা তোমায় খুঁজে পেতে পাশে সাক্ষী
পথের ধারের শুভ্রতার কাশফুলের সারি ।