জমিদার বলেন ওহে ভৃত্য কিনবো জমি,
করবো দিঘি নিয়ে তোমার ঐ শালীজমি।
করজোরে ভৃত্য করে মিনতি করে বলে,
প্রভু গরিবের ভিটেমাটি নেই কিছু যে বাকী,
রক্ষে করুন গরীবের ওই সাত পুরুষের মাটি
আপনি আমার ভূস্বামী পিতৃতুল্য সমাজপতি।


সাতপুরুষের বাস মনে ওইটুকু শুধু আশ,
আছে কেবল এই মাটি জীয়নের শেষ শ্বাস।
জমিদার বলেন হেসে রাখ তোর আশ,
নেবো না জমি বেঁচে থাক তোর নিঃশ্বাস।
মাস গেলে কথার খেলাপ জমির দখল,
লেঠেল দিয়ে কাঙালের সব বেদখল।


কাঙাল বলে হায় নিয়তির একি হাসি,
জগতে সেই লোভী যার আছে যত বেশি।
ক্রন্দিত ভৃত্য গ্ৰাম ছাড়া ঘোরে পথে পথে,
কয়েক মাস বাদে জমিদার গিন্নী দিঘিরপাড়ে।
যখন একদিন সকলের সাথে স্নানে আসে,
কাঙাল ভয়ে ভয়ে মিনতি করে সব কথা বলে।


জমিদার  গিন্নী গিয়ে দাঁড়ায় পাশে,
বলেন সেবা পরম ধর্ম এই দূনিয়াতে।
তোমার ভিটেমাটি আছে পরিপাটি,
জমিদার ভন্ড বলে ভৃত্যকে দেন অভয়বাণী।
বলেন এ তোমার মায়ের ফসল,
ক্ষমা করো মোদের পাপের দখল,
তোমার জমি তুমি থাকবে সবল।