মুঠোফোনে কান দিয়ে,
মনের অন্তরীক্ষে ভ্রমণ।
বাস্তবতার অবচেতনা,
নেশায় স্বপ্নে জাগরণ।
আরোহীর সুরক্ষা থাকে সুপ্ত,
মুঠোফোন নিয়ে চালক পরিতৃপ্ত।
এক হাতে নিয়ন্ত্রণে কানে মুঠোফোন,
চালকের চালনায় মনের সম্মোহন।
আত্মতুষ্টিতে আত্মবিসর্জন,
চালকের দক্ষতার ছিল অবনমন।
সুখের ঘুমে আচ্ছন্ন যাত্রীরা সব ভোরে,
কান্ডারীর দৃঢ়তায় সবকিছু সোঁপে।
হঠাৎ পথে প্রলয় নেমে় আসে,
মুঠোফোনে হাতে কান্ডারীর প্রেম জাগে।
অসর্তকতা অসাবধানতায় মোহে ,
সেতু ভেঙ্গে বাহন নিমজ্জিত জলে।
মাঝিরা মাছ ধরা ফেলে,
ছুটে আসে নৌকা করে।
বাঁচে খান দশেক প্রাণে,
বাকী মুঠোফোনের জালে।
রেসারসির প্রাণঘাতী পরিনতি,
সব নিয়ে যায় মুঠোফোনের প্রীতি।
রোজ সকালে কাগজে পাতায় দেখা,
রেল কাটা বাসে চাপা পরে মরা।
রাস্তায় সোস্যাল মিডিয়া‌ দেখা,
কিম্বা মুঠোফোনে গান শোনা।
কোথাও অন্ধত্বের ছেলেখেলা,
সব মুঠোফোনের অপকারিতা।
হয় না কেন শুধু প্রয়োজনে কথা বলা,
জীবনের কি সব মুঠোফোনে প্রতিবন্ধকতা।
মুঠোফোনে সব চাওয়া পেতে,
কত জীবনের হয়েছে অমুল্য দিতে।
প্রকৃত মুঠোফোনের ব‍্যবহারে কবে...?
রাস্তায় কিঞ্চিত সজাগ থাকা হবে।
অমূল্য জীবনগুলো হয়তো সেদিনে,
পৌঁচ্ছে যেত আপন গন্তব্য স্থানে।
মুঠোফোনের কিবা দোষ...?
দোষ‌ তো অবচেতন মানুষের মনের।