আজ এই পূণ্য তিথির শুভক্ষণে বলভদ্র,শুভদ্রা,মহাপ্রভু বিরাজমান রথে
আনন্দে নাচিছে নীলাচল ধাম আজ ভক্তসমাগমে
সকলের মনের অভিলাষা পূর্ণ হবে নীলমাধব দর্শনে।


পতাকা উড়েছে রথের মস্তকে,যাত্রা চলেছে জয় জগন্নাথ নামগানে গূন্ডিজা মন্দির পানে
পরম দারু ব্রম্ভ দর্শনে দেবতাগন আসিবেন এই মানব দরবারে,হয়েছে জগত আজ আনন্দআশ্রম,
নতমস্তকে অভিবাদন করেন সবে, নীলাচলের এই
নীলমাধব দর্শনে।


ইন্দ্রদুন্ম‍্য মহারাজের অভিলাষে,বিশ্বকর্মা দেবের অদ্ভুত সৃষ্টিকলা, ব্রম্ভদেবের উদ্ভোধনী পূরান গাঁথার কথা সকলের মুখে  ।


কৃপানিধান হে জগতপিতা,তোমার আদেশ বিনা কালের প্রবেশ নিষেধ এই নীলাচল ধামে ।
মহাদোধি স্নানের পরে, ভক্তগণ রথের দড়ি ধরে করছে যপ তোমার শতনাম,জাতপাত,মানবতার হানাহানি ভুলে।


মনে সবার মহাপ্রসাদ প্রাপ্তির আশা,ভক্তগণ
করিছে প্রভুর নামগান সবার তৃপ্ত অন্তরের সকল অভিলাষা।


হঠাৎ এক তীব্র ক্রন্দনে ভক্ত এক ছুটে আসেন
মন্দির প্রাঙ্গণে দেখন এক আভাগী মায়ের কোলে
কাঁদিছে শিশু আর তার মা অনাহারে,
ভক্ত চাহিয়ে প্রভু্র মুখপানে মিনতি করেন অশ্রুজলে পারিবো নাকি অধম ওই শিশুর ও মাতার কষ্ঠ লংঙ্ঘিতে।


দিনের শেষে যখন সবাই যখন তৃপ্ত মহাপ্রসাদ পেয়ে
ভক্ত আসে শিশুর মায়ের কাছে দুনয়নে অশ্রু বাহে
কহে আমি তৃপ্ত হব এই মহাপ্রসাদ তোমায় দিয়ে
প্রভুর নয়নে এবার আঁখিজল ভরে অশ্রুজল বাহে এই ধরাধামে,
আশীর্বাদ আসে আকাশ রিক্ত করে ভক্তের মস্তকে বৃষ্টি রুপে।