জীবনটুকু যখন অনুভবের ক্লেশ,
সৃষ্টিতে ছিলো না এতটুকু কম অক্লেশ।
তবু পথের এক দরিদ্র ভিক্ষুক,
চরিত্র রূপায়ণে কোনো একদিন হয় নিন্দুক।


জীবনভর ছিলো যাযাবর বৃত্তি,
এখানে ওখানে এখন‌ও দেখি তার কৃষ্টি।
কখনো ঋষির জটায় -পাখির বাসায়,
কখনো রচনায় ধ্যানমগ্ন আপন নেশায়।


কখনো সমর্পণে ছিল গৃহস্থের কন্যার ভরপোষণ,
কখনো করেনি অবহেলা তার আপন বচন।
ক্ষণিকের চেষ্টা ছিল শ্বাপদ বর্গের জীবনদান,
জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের সৃষ্টির সব বলিদান।


শরতের আকাশে সব কিছু দেখায়,
শব্দগুলো সব যেন নতুন করে সম্পর্ককে চেনায়।
জীবনের চাওয়া পাওয়া গুলো ছিলো স্বল্প,
সৃষ্টিতে কথাগুলো ছিল এক একটি শিল্প।


জানি ঈশ্বর প্রাপ্তি শুধুই জীবের সেবায়,
তাই চিরদিন তুমি অমর পদাতিক ঈশ্বর।