আমি আজও শুনেছি তোমার বাঁশি,
সন্ধ্যায় রাধিকা রানীর আহ্বানে।
নিধুবনে অজানা একাকীত্বের মাঝে,
প্রভাতে কোন মাঠে নিদ্রাভঙ্গের সাথে।


মুগ্ধতার অন্তিম মোহাচ্ছন্নে আমি,
হৃদয়ের ভিতরে মনের মন্দিরে তুমি।
তোমার বাঁশি সুরে মোহিত জগতবাসী,
বাঁশি প্রত‍্যহ বাজে চলেছে আমার মনে।


প্রভাকর উঠিবার সাথে শুনি বাঁশি,
গোধূলির শেষবেলায় বাঁশির সুর শুনি।
আমার অন্তরের বারিধারা সেই সুরে নামে,
বাঁশির সুরে হৃদয় প্রেমের আহ্বানে জাগে।


তোমার বাঁশির সুরে দিগন্তে স্থবিরতা নামে,
ওই ছোট্ট ছেলেটাকে সেদিন বাঁশি নিয়ে দেখি।
বাজিয়েছিল তোমার মতো বাঁশি,
আমার আঁখিপানে আনন্দাশ্রু নামে।


তোমার বাঁশি ও বাজায় শুনে,
প্রশ্ন ও কেমনে বাজায় তোমার বাঁশি?
তুমিতো জানি ওর হৃদয়ে বসে,
তাই বাঁশি শুনি রোজ ওর পাশে বসে।