ফুটপাতে জীর্ণ চটা প্রায় আব্রুহীন একটি তাঁবু -
সামনে নড়বড়ে কাঠের বেঞ্চে উপবিষ্ট
ক্ষয়িষ্ণু চেহারার ভাসাভাসা চোখের
নারী এক ; শান্ত । শুদ্ধ ।
বিশীর্ণ হাতদুটি বেঞ্চে শায়িত পুত্রের কপালে
হাত বুলোয়- অক্লান্ত , অনাদি সেবা সে এক !-


মার্ক্স - স্তালিন - লেলিন বোঝে নি ।
বোঝে নি আইনস্টাইন , রবীন্দ্রনাথ আর ফেলিনি -
সংসদীয় গণতন্ত্র অজ্ঞাত তার কাছে ;
শুধু যখন শ্রান্ত দিন আশ্রয় নেয় রাত্রির ক্রোড়ে -
সেই নারী তার আঁচলভরা স্নেহ উজাড় ক'রে
ডাকে - " আয় । খোকা খাবি আয় । "
বিশীর্ণ হাতদুটি অন্নগ্রহণরত পুত্রের দেহে
বাতাস করে - অক্লান্ত , অনাদি সেবা সে এক !-


অন্ধকার...। অন্ধকার...।
সেই নারীর বেগ দুর্বার !
চন্দ্র - সূর্য - নক্ষত্র - তারার দল মহাকাশে
কর্মরত - সে তো আলোযুক্ত , তাই !
আলোকে নিয়মের বিচ্ছেদ নাই ।
শুধু যখন শ্রান্ত দিন আশ্রয় নেয় রাত্রির ক্রোড়ে -
সেই নারী তার আঁচলভরা স্নেহ উজাড় ক'রে
ডাকে - " আয় । খোকা শুবি আয় । "
বিশীর্ণ হাতদুটি শায়িত পুত্রের কপালে
স্পর্শ করে- অক্লান্ত , অনাদি স্পর্শ সে এক !-