সুখে-দুঃখে ধরি তোমার চরণ
মাগো তুমি যে সন্তানের শরণ।
তোমার হৃদয়ে স্নেহের মহাসমুদ্র
চোখে শীতের সকালের কাঁচা রৌদ্র।
তুমি রাখিতে সন্তানের মান
দ্বিধা করো না দিতে প্রাণ।
তাই তোমার গলায় ফুলের মালা
তোমার হাসিতে পুড়ে সমস্ত জ্বালা।
মাগো তুমি মমতাময়ী, রাজরাণী
তুমি সংগ্রামী,বিদ্রোহীনী,জ্ঞানী।
তুমি নাড়িয়ে চল হাতের বালা
তুমিই নোবেল জয়ী মালালা।
তুমি প্রেয়সী,বালিকা,সেবিকা
বান্ধবী,কর্মজীবি নারী, শিক্ষিকা।
তুমি বীরাঙ্গনা, দিয়ে চলো তূরী
প্রয়োজনে খুলে ফেলে দাও চুড়ি!
তুমি কৃষানী,গৃহিনী, সৈনিক
তুমি যোদ্ধ করে যাও দৈনিক।
তুমি শাসক,বিচারক,কৌঁসুলি
গেয়ে যাও অসহায়দের বুলি।
তুমি নায়িকা,গায়িকা,চিত্র আঁকিয়ে
এঁকে যাও ছবি রঙ তুলি বাঁকিয়ে।
তুমি কবি, লেখিকা,সাংবাদিক
তুমি অজানা পথের পথিক।
তোমার ক্ষুরধার লেখনী
লোকে দেখে দিয়ে বাঁকা চাহনি।
তুমি কখনো গুপ্তচর কখনো দোসর
তাই তোমায় ভালবাসি জীবন ভর।